বাংলায় দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ার ফলে ব্য়পক ক্ষতি হচ্ছে লিচু চাষিদের । বৃষ্টি না হওয়ার ফলে লিচুর মুকুলের প্রায় অর্ধেক ঝরে গেছে। তীব্র খরার কারনে লিচুর আকার পুরে যাচ্ছে, আকারেও অনেকটা ছোট হয়ে যাচ্ছে লিচু। তবে দুর্যোগ বিহীন স্বাভাবিক বৃষ্টির ফলে লিচু চাষিদের ক্ষতির আশংকা অনেকটাই কেটে গেছে।
দুর্যোগবিহীন বৃষ্টি লিচুর জন্য টনিকের মতো কাজ করেছে বলে লিচু চাষিদের অভিমত। তাই স্বস্তি ফিরেছে লিচু চাষিদের মধ্যে। জেলার বিভিন্ন লিচু বাগান ঘুরে দেখা যায় , বিভিন্ন গ্রামের বাগানের গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচু। লিচু রক্ষায় চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন পরিচর্যার কাজে।
অনেকেই জানান, লিচু বাগান কয়েকবার বিক্রি হয়। গত দুই বছর করোনা আর এবছর প্রচন্ড খরতাপ ও অনাবৃষ্টির প্রভাব পড়েছে লিচু বাগানে। বেপারিরা আসলেও বাগান দেখে দাম বলার সাহস পাচ্ছেনা। বর্তমানে দুই লাখ টাকার বাগান ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় দর কষাকষি চলছে। তবে গত দুইদিনের শিলা বিহীন স্বাভাবিক বৃষ্টি হওয়ায় সতেজ হয়ে উঠেছে লিচুর গুটি। খরা ও অনাবৃষ্টিতে মুকুল এবং গুটির ক্ষতি হলেও স্বস্তির বৃষ্টিতে এখন অনেকটাই পুষিয়ে নিতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ সেচ দেওয়ার জন্য় গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা, বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তায় দিন কাটচ্ছেন পাট চাষীরা
প্রতিটি বাগানে লিচুর ভালো মুকুল এসেছিলো। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে অর্ধেকের মতো মুকুল ঝরে পড়েছে। লিচুর গুটি কম দেখা যাচ্ছে। তাই এবার ফলন কম হতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
আরও পড়ুনঃ শীর্ষ কৃষি ব্যবসার ধারণা 2022: স্বল্প বাজেটে এই কৃষি ব্যবসা শুরু করে ভাল মুনাফা অর্জন করুন
কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে মাঠ পর্যায়ে লিচু বাগান পরিদর্শন করে দীর্ঘ অনাবৃষ্টি ও খরা মোকাবেলায় চাষিদের বাগানে সেচ দেওয়াসহ সকল পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। গত দুইদিনের বৃষ্টি লিচুর জন্য টনিকের কাজ করেছে। এবার উপজেলায় ৩ হাজার মেট্রিক টন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।