ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আসতে চলেছে আর এক ঘূর্ণিঝড়। সুপার সাইক্লোন আমফানের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গ এখনও বিধ্বস্ত। রাজ্যের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যেই আগামী সপ্তাহের মধ্যে আবার আসতে চলেছে আর এক ঘূর্ণিঝড় ।
আসছে ঘূর্ণিঝড় গতি -
সুপার সাইক্লোন ‘আমফান’ এবং ‘নিসর্গ’, যথাক্রমে ২০ শে মে এবং ৩ রা জুন পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলে ভূমিধ্বস সৃষ্টি করেছে। নিসর্গের সময় রেড অ্যালার্ট জারি করা হলেও তা আমফানের মত শক্তিশালী ছিল না। মহারাষ্ট্র, মুম্বই সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত হলেও তেমন কোন ক্ষতি হয় নি। অপরদিকে আমফানের প্রভাবে সমগ্র বাংলা বিপর্যস্ত। এর মধ্যেই আবার একটি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এর নামকরন করা হয়েছে 'গতি'।
আইএমডি-র আঞ্চলিক আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের প্রধান ড. কুলদীপ শ্রীবাস্তব বলেছেন যে, "১০ ই জুন বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি ঘনীভূত হতে চলেছে এবং এর মধ্য প্রদেশের দিকে চলাচল উত্তরপ্রদেশের মধ্য দিয়ে দিল্লীতেও আর্দ্রতাযুক্ত বাতাস বয়ে আনবে"। ।
৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টিপাত -
আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, “এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী সপ্তাহের মধ্যবর্তী সময়ে অর্থাৎ ১১ ই জুন থেকে ১৩ ই জুন সন্ধ্যায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো বাতাসের সাথে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। দিল্লী , উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড এবং পূর্ব রাজস্থান, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা।
বিগত বছরে জুন মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আবহাওয়া ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছর আগামী সপ্তাহেও নেই অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের সম্ভবনা। বরং, এই সময়ে রাজ্যে বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টিপাত এবং আকাশের মেঘলাভাবের কারণে ১৫ ই জুন পর্যন্ত রাজ্যে তাপপ্রবাহের সম্ভবনা প্রায় নেই।
Related Link -