কৃষিজাগরন ডেস্কঃ যত্নে অভাবে জাতীয় সরকের ধারে লাগানো মূল্যবান গাছ শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে সবুজ ও বনসৃজনের সম্পত্তি।কিন্তু হুস নেই প্রসাশনের।আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ও রাজ্যের অর্থনীতি। কারণ বহু মূল্যবান এই গাছগুলি রাজ্য সরকারের সম্পত্তি।
পরিবেশপ্রেমীদের দাবী,অতিশীঘ্রই গাছগুলির চিকিৎসা করা উচিৎ।নাহলে কয়েকবছরের মধ্যে গাছগুলি রোগাক্রান্ত হয়ে শুকিয়ে মারা যাবে। ফলে নষ্ট হবে সবুজের সমারোহ।
পতিরাম ,কুমারগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ইত্যাদি রাস্তার দুই পাশে শত শত গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে শুকিয়ে মরে গিয়েছে। এছাড়া বরাহর মোড় থেকে সাহাপুকুর হয়ে ডাঙ্গারহাট পর্যন্ত যে সড়ক চলে গিয়েছে তার উভয় পাশের গাছগুলিরও একই রকমভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে মরে যাওয়ার চিত্র ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুনঃ এবার গ্লাইফোসেট ব্যবহারে বিধি নিষেধ
জাতীয় সড়কের ধারে এরকম প্রায় ৫০০টি গাছ মারা গিয়েছে।যত্নের অভাবে আরও গাছ মারা যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।এছাড়াও মৃত গাছগুলি বিপজ্জনকভাবে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে।আশঙ্কা,যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় গাছগুলি রাস্তার উপর ভেঙে পরতে পারে।
যে সমস্ত গাছ দীর্ঘদিন ধরে শুকিয়ে মরে গিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস, শিশু ইত্যাদি। পাকা রাস্তার ধারের মহামূল্যবান বড় বড় এই গাছগুলি মৃত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকার চিত্র দেখা যাবে চক বড়ম, গোবিন্দপুর, উদইল, মোহনা, বরাহর হাসপাতাল মোড়, গোপালগঞ্জ-নাককাটির মধ্যবর্তী অংশে।
আরও পড়ুনঃ রমরমিয়ে চলছে সারের কালোবাজারি ,বিপাকে কৃষকরা
অন্যদিকে ডালনাপাড়া, ভূতকুড়ি, সাহাপুকুরের মতো বিভিন্ন এলাকায় প্রায় একই রকম অবস্থা। প্রথমে এই গাছগুলি আস্তে আস্তে শুকিয়ে যাচ্ছে এবং ধীরে ধীরে সেগুলি পাতা বিহীন হয়ে সম্পূর্ণভাবে মরে গিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছে। শুকিয়ে মরে যাওয়া গাছগুলির বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা গেল গাছের গোড়া থেকে উঁচুতে অনেক দূর পর্যন্ত গাছে উই ধরেছে।
ফলে গাছের অনেকটা অংশ জুড়ে মাটির প্রলেপের মতো তৈরি হয়েছে। উই পোকার আক্রমণের এই ঘটনাকে গাছের মরে যাওয়ার একটা অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন এলাকার মানুষজন। যত দিন যাচ্ছে কুমারগঞ্জের পাকা রাস্তার ধারের এই ধরনের সরকারি মূল্যবান গাছগুলি একের পর এক মরে যাওয়ার ঘটনায় এলাকার সচেতন নাগরিক ও পরিবেশপ্রেমীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।