কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বাংলা ফসলবীমাকে কেন্দ্র করে বিভ্রান্তি ছড়াল পূর্বমেদনীপুরের কৃষকদের মধ্যে। ১লা ডিসেম্বর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বিস্তারিতভাবে জানানো হয় কোন রবি শস্যের জন্য কত তারিখের মধ্যে আবেদন করতে হবে।রাজ্য কৃষি দফতরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী,বোরো ধানের জন্য শেষ তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০২৩।কিন্তু পূর্বমেদিনীপুরের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয় বোরো ধানের জন্য ৩১জানুয়ারি ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে।ফলে এনিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে কৃষকদের মধ্যে।
এবিষয়ে জানতে পূর্বমেদনীপুরের জেলা শাসক পূর্নেন্দু কুমার মাঝির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।নোডাল অফিসারের দফতর থেকে বলা হয়, ‘ বিষয়টি জানা নেই,হয়ত কোনো ভুল হয়েছে ।আমরা দ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করছি’।
আরও পড়ুনঃ কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার,জানুন আবেদন পদ্ধতি
রবি মরসুমে ধান,গম, ভুট্টা সহ অন্যান্য ফসলে বিমা করানোর জন্য সম্প্রতি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কৃষি দফতর। রাজ্য সরকারের বাংলা শস্য বিমার (Bangla Sashya Bima) আওতায় কৃষকদের মূলত খরিফ এবং রবি মৌসুমের ফসলের জন্য অর্থ সহায়তা করে। রাজ্যের একাধিক জেলার কৃষকরা ইতিমধ্যেই এই বিমার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। এই প্রকল্পের আওতায় চাষীরা বোরো ধান, বাদাম,মুসুরি ,খেসারি,সরষে, ভুট্টা, সহ অন্যান্য ডালজাত শস্যেরও বিমা করাতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ Kendu farming guide: জেনে নিন কেন্দু ফল চাষ করার সহজ উপায়
বিমার সুবিধা পাওয়ার জন্য কৃষকদের আবেদন করতে হবে অনলাইন বা অফলাইন মাধ্যমে। বোরো ধান চাষের জন্য ৩১ জানুয়ারি ২০২৩ এবং ভুট্টার জন্য ৩১ ডিসেম্বর ২০২২-এর মধ্যে আবেদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ফসলের প্রিমিয়ামের পুরো খরচ দেবে রাজ্যসরকার। কৃষকদের উন্নয়নের স্বার্থে এই প্রকল্পের সূচনা করা হলেও অনেকেই এই সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানেন না। এবারেও রাষ্ট্রায়ত্ত কৃষি বিমা সংস্থার মাধ্যমেই প্রকল্পটি রূপায়িত করা হবে, ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে প্রচার চালানোর জন্য কৃষি দফতর থেকে বিমা সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।