আমফানের পর এবার ভারতের পশ্চিম উপকূলে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে। তবে আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি এবং তীব্রতার দিক থেকে, ২১ শে মে তারিখে হওয়া সুপার সাইক্লোন আমফানের চেয়ে অনেকাংশে দুর্বল।
আইএমডি-র তথ্য অনুযারে, এটি প্রথমে পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়ের রূপে না থাকলেও পরে তা ঘনীভূত হয়ে আজ থেকে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে এবং আরও তীব্রতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘নিসর্গ’।
ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এবং সংলগ্ন পূর্ব-মধ্য আরব সাগর ও লাক্ষাদ্বীপের নিম্নচাপটি সোমবার গোয়ার পানাজীর প্রায় ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ৬৯০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আইএমডি জানিয়েছে, "২ রা জুন দুপুরে উত্তর এবং উত্তর-পূর্বে দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর মহারাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাট উপকূলে হরিহরেশ্বর এবং ৩ রা জুন বিকেলে দামানের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে এই ঝড়ের অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিসর্গ প্রতি ঘণ্টায় ৯৫-১০৫ কিলোমিটার গতিবেগে আসতে চলেছে। স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে 'অত্যন্ত মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়' রূপে চিহ্নিত আমফানের সেই সময় বাতাসের গতিবেগ ১৮০-এরও বেশী ছিল। সুতরাং আমফানের চেয়ে অনেকটাই কম শক্তিশালী নিসর্গ।
মিনিস্ট্রি অফ আর্থ সায়েন্স (MoES) সচিব ড. মাধবন নায়ার রাজীবন ঘোষণা করেছেন, সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষা কেরলে প্রবেশ করেছে। চলতি বছর দেশে বর্ষার পরিমাণ "ভাল ও স্বাভাবিক"। কৃষকদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান এই সময়ে। দেশে স্বাভাবিক এবং ভালো বর্ষার অনুপ্রবেশ ঘটায় তাদের ফসল উৎপাদনও ভালো হবে।
পশ্চিম উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা –
এই ঘূর্ণিঝড়টির ল্যান্ডফলের সঠিক অবস্থান এখনও নির্ধারণ করা না হলেও এটি মুম্বাইয়ের কাছাকাছি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেশী থানে, রায়গড়, রত্নগিরি ও সিন্ধুদুর্গও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং ৪ ঠা জুন পর্যন্ত এই অঞ্চলগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রে পরের তিন দিনের বৃষ্টিপাত হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে। সাধারণত ১০ ই জুনের পরে মহারাষ্ট্রের বর্ষা আসতে চলেছে।