সুরের আকাশে অস্তরাগ, মঙ্গলবার সংগীতপ্রেমীদের চোখের জলে বিদায় নিলেন গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukhopadhyay)। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বর্ষীয়ান এই সঙ্গীতশিল্পীর। ১৯৯৯ সালে ভারত নির্মাণ পুরস্কার পান তিনি। ২০১১ সালে বঙ্গবিভূষণ সম্মান লাভ করেন। গীতশ্রী হিসেবে জনপ্রিয় ছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। গত ২৬ জানুয়ারি অসুস্থ হয়ে পড়েন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ২৭ জানুয়ারি লেক গার্ডেন্স থেকে গ্রিন করিডোর করে এসএসকেএম -এর উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় গীতশ্রীক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দেখতে যান শিল্পীকে। পরে তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসায় স্থানান্তর করা হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে।
আরও পড়ুনঃ সুরের আকাশে নক্ষত্র পতন,প্রয়াত প্রয়াত কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পি লাহিড়ি
লতা মঙ্গেশকর, আশা ভোঁসলেদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় যাননি তিনি। সঙ্গীত জগতে তাঁর যাত্রাপথ ছিল সমান্তরাল।সাদাসিধে, মাটির মানুষ... প্রচার থেকে দূরে থাকা আনপ্যারালাল শিল্পী। প্রতিদান? সত্যিই কি পেয়েছেন?কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের পদ্মশ্রী পুরস্কার সম্মান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি। ৯০ বছর বয়সে পদ্ম সম্মান পাওয়ার কথা শুনে কিছুটা মর্মাহত হন নবতীপর শিল্পী।
হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার ঠিক আগে নার্সকে ডেকেছিলেন তিনি। শুনতে চেয়েছিলেন গান। প্রথমে রবীন্দ্রসঙ্গীত, আর তারপর মান্না দে...। ‘আমি যে জলসাঘরে’... এ গান যে তাঁরও গাওয়া। আর তারপর ‘এই শহর থেকে আরও অনেক দূরে...।’ পাড়ি দিলেন তিনিও। সুরলোকে।
আরও পড়ুনঃ নারী শক্তির উদাহরণ: বাসন্তী দেবী নারীদের সংগঠিত করেছেন, এই চমৎকার কাজের জন্য পাবেন পদ্মশ্রী পুরস্কার
Share your comments