বাংলাদেশের লালমাটিতে তরমুজ চাষে প্রথমবারেই সফলতা পেয়েছেন উপজেলার বোয়ালী গ্রামের কৃষক মানিক আল মামুন। স্বল্প সময়ে ও কম খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় উপজেলায় তরমুজ চাষের আগ্রহ বাড়বে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
এদিকে বাজারে পাওয়া তরমুজের তুলনায় লাল মাটির তরমুজ খেতে বেশি সুস্বাদু হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারে এই তরমুজের চাহিদা ব্য়পক হারে বারতে শুরু করেছে । এতে বেশি দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, উপজেলার বোয়ালী বাজারের পূর্বপাশেই ৫৫ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। বাগানে মাচা পেতে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন কিং, পাকিজা, ল্যান্ড ফ্রাই, ও ব্ল্যাক হিরো জাতের মোট ৮০০ তরমুজ চারা রোপণ করা হয়েছে। মাচার নিচে তাকালে দেখা যায় প্রতিটি গাছেই ছোট-বড় তরমুজ ঝুলে রয়েছে। প্রতিটি তরমুজের গড় ওজন প্রায় ৭ থেকে ১০ কেজি।
আরও পড়ুনঃ মাত্র এক একর চাষে মাসে ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করুন, রইল বিস্তারিত
প্রথমবারেই আশানুরূপ ফল পাওয়ায় বেজায় খুশি তরমুজ চাষি মানিক। খেত থেকে তরমুজ তুলে স্থানীয় বোয়ালী বাজারেই বিক্রি করেন তিনি। এর মধ্যে দিয়ে অনেকে নিজ এলাকায় প্রথম চাষ হওয়া তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন। অনেকে শখের বসেই কিনছেন মানিক আল মামুনের বাগানের তরমুজ।
স্থানীয় তরমুজ ক্রেতা আজহার আলী বাংলাদেশের এক সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন , বাজারে পাওয়া তরমুজের চেয়ে এটি অনেকগুণ বেশি মিষ্টি। ওই গ্রামের বাসিন্দা ও আইনজীবী মকিবুল হাসান মুকুল জানিয়েছেন , নিজের বাড়ির কাছে তরমুজ চাষ হচ্ছে এটি অবশ্যই আনন্দের খবর। এ ছাড়া সরাসরি বাগান থেকে তরমুজ কেনার মধ্যে আলাদা একটা আমেজ রয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, খেতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হওয়ায় সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয়নি কৃষক মানিক কে । চারা রোপণের মাত্র দুই থেকে আড়াই মাসেই ফল বিক্রি করা যায়। মানিকের বাগানে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, এ মৌসুমে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন মানিক ।
আরও পড়ুনঃ এই একটি পোকা লিচুর পুরো ফসল নষ্ট করে দিতে পারে, আজই সতর্ক হন
সখীপুরে প্রথমবার তরমুজ চাষ হওয়ায় প্রদর্শনী হিসেবে সোনার বাংলা মালচিং পেপার বিনা মূল্যে পেয়েছেন, এতে তাঁর খরচ অনেক কমে গেছে। এ ছাড়া লাল মাটিতে তরমুজ চাষে মানিক কে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়েছেন অটোক্রপ কেয়ার লিমিটেডের সিনিয়র কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক।
এ বিষয়ে মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন , ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন এ ফলটি চলনবিল, বরিশাল থেকে সখীপুরে আসে। তাই স্থানীয়ভাবে কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি করতে মানিক আল মামুনকে নিয়মিত উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়েছি। আশা করি সামনে চাষির সংখ্যা আরও বাড়বে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মন বলেন, এই প্রথম সখীপুরে পরীক্ষামূলকভাবে তরমুজের বাণিজ্যিক চাষ হয়েছে। ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে, আশা করা যায় সামনে অনেকেই তরমুজ চাষে আগ্রহী হবেন।