কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ভেজাল আলুবীজ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন কৃষকরা । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর রাতারাতি বাজারে আলুর দাম কমে গেছে। যার ফলে বাজারে ভেজাল আলুবীজ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন ইসলামপুর মহকুমার কৃষকরা।
পাইকারি বাজারে আলুর দাম ১২-১৩ টাকা কেজিতে চলে আসায় বীজ আলুর সঙ্গে সাধারণ আলু মিশিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার পর খোলাবাজারে আলুর দামের বিরাট পতন হয়েছে। এছাড়া বাজারে চাহিদাও কমেছে অনেকটা। ফলে আলুবীজে ভেজালের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ চা বাগানে উদ্ধার হস্তী শাবক,মৃত্যুর কারন নিয়ে ধন্ধে বনকর্মীরা
অতীতেও এমন নজির দেখা গিয়েছে। তাই কৃষকদের দাবী ভেজাল আলুবীজ রুখতে নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে। বিষয়টি নিয়ে কৃষি দপ্তরের তরফে এখনও উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ তাঁদের। যদিও কৃষি দপ্তর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
নভেম্বর মাস পড়তেই বিভিন্ন স্থানে আলুবীজ বিক্রেতারা পসরা সাজিয়ে বসেছেন।তাই বিভিন্ন কৃষক সংগঠনগুলির দাবী আলুবীজের দোকানে অভিযান চালিয়ে আলুবীজের নমুনা সংগ্রহ করুক কৃষি দপ্তর। তাহলে আলুবীজ বিক্রেতারা ভেজাল বীজ বিক্রির আগে দ্বিতীয়বার ভাবতে হবে।
সূত্রের খবর, ভেজাল আলুবীজসহ ধরা পড়লে ব্যবসায়ীদের জরিমানা ও দোকানের লাইসেন্স বাতিল করার মতো পদক্ষেপ গ্রহন করতে পারে দপ্তর। অভিযানে স্থানীয় ও ভুটানের আলুবীজের উপরই বেশি করে নজর দেওয়া হবে। কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, ইসলামপুর মহকুমার রামপুর ও ইসলামপুর শহরের চোপড়াঝাড় এলাকায় আলুবীজের সবচেয়ে বড় বাজার রয়েছে। দুটি বাজারেই নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।
আরও পড়ুনঃ হৈমন্তী চা চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্যে মূলত করণদিঘি, গোয়ালপোখর-১ ও ২ এবং ইসলামপুর ব্লকে আলু চাষ হয়। প্রতি বছরই পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ ও ভুটানের ভেজাল অনুমোদনহীন আলুবীজ কিনে বহু চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হন। চাহিদামতো ফলন হয় না। সেজন্য এবার আলু চাষের জমি তৈরির আগেই ভেজাল আলুবীজ ধরতে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।