ক্রমবর্ধমান দূষণ ও ফসলে রাসায়নিক ব্যবহারের কারণে শুধু মানবদেহ নয় পরিবেশেরও ক্ষতি হচ্ছে। এই পরিস্থিতে মানুষ এখন তাদের স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক বেশি সচেতন । কৃষি বিজ্ঞানীরাও প্রতিনিয়ত নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউসনের প্রিন্সিপাল ডঃ এ কে সিং জানিয়েছেন, যে শহরের মাটি দূষিত হয়ে আছে । এই মাটিতে ভাল কোন ফসল উৎপাদন হয় না । এবং এটি উন্নত করতে দীর্ঘ সময় লাগেবে । এমন পরিস্তিতে আমাদের মাটিহীন চাষাবাদ গ্রহণ করা উচিৎ । ডাঃ এ কে সিং বলেছেন, যে বহুতল আবাসনে বসবাসকারী লোকেরা মাটিহীন কৃষিকাজেও যুক্ত হতে পারে, যদি সেখানে একটি রৌদ্রোজ্জ্বল বারান্দা থাকে।
ফসল ফলানোর জন্য মাটি বা জমি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তবে আধুনিক প্রযুক্তি এই সীমা ছাড়িয়ে কাজ শুরু করেছে।মাটিহীন কৃষি বা হাইড্রোপনিক প্রযুক্তি এর একটি উদাহরণ।
আরও পড়ুনঃ কৃষকদের জন্য খুশির খবর ,এখন মাটির স্বাস্থ্য পরিক্ষা করতে লাগবে মাত্র ৯০ সেকেন্ড
শুধুমাত্র জল এবং পুষ্টি উপাদানের সাহায্যে জমিতে গাছপালা জন্মায় । এই প্রযুক্তির সাহায্যে, একটি নিয়ন্ত্রিত জলবায়ুতে মাটি ছাড়াই গাছপালা জন্মানো সম্ভব। অন্য পদ্ধতিতে মাটির পরিবর্তে আর্দ্রতা ধরে রাখতে বালি, ধানের তুষ, কোকোপিট এবং গাছের বর্জ্য ব্যবহার করা হয়।
এই পদ্ধতিতে, ১৫ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এবং প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় যত্ন নেওয়া হয়। মাটিহীন চাষের পাশাপাশি একে জলজ চাষও বলা যেতে পারে। এর সবচেয়ে ভালো জিনিস হল এটি পরিবেশের ক্ষতি করে না এবং এই গাছগুলির জন্য কম জলের প্রয়োজন হয়।
আরও পড়ুনঃ ভারতে শীঘ্রই চালু হতে চলেছে বৈদ্যুতিক ট্রাক্টর, ইঙ্গিত দিলেন পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী
এ পদ্ধতিতে চাষ করেলে গাছের কোনো রোগ হয় না । এই পদ্ধতিতে অল্প জায়গাতেও চাষ করা যায় এবং সারা বছরই সব ধরনের ফসল পাওয়া যায় । একই সাথে আগাছার কোন সমস্যা নেই এবং এই কৌশলটি শাক সবজির জন্য খুব কার্যকর বলে মনে করা হয়। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাণিজ্যিকভাবে এই চাষে ভালো লাভ পাওয়া যায় এবং বিদেশি সবজিও চাষ করা যায়।