১ থেকে ৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে 'মিলিয়নেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া' অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন জেনে নিন গরু ও মহিষের জন্য সস্তায় খাবার প্রস্তুত করুন, বিস্তারিত জেনে নিন স্বল্প পরিসরে মাছ চাষ করুন, রইল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
Updated on: 14 January, 2022 11:15 AM IST
ধান সংগ্রহে পিছিয়ে ঝাড়খণ্ড ( প্রতীকি ছবি )

KMS  2021-22 -এর অধীনে, ন্যূনতম সমর্থন মূল্যে ( MSP) সারা দেশে ধান সংগ্রহ চলছে । পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং পশ্চিম উত্তর প্রদেশ সহ দেশের অনেক রাজ্যে ধান কেনার কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে বিহার, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ডে ধান সংগ্রহের কাজ চলছে । এদিকে , ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ( এফসিআই ) নতুন খসড়া প্রকাশের কারণে কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন । এমএসপিতে ধান বিক্রি  কমাতে নতুন নিয়ম আনা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে ।

এফসিআই-এর নতুন খসড়ায় খাদ্যশস্য সংগ্রহের গুণগত মানদণ্ডে পরিবর্তন আনা হয়েছে। কর্পোরেশন বলছে, আন্তর্জাতিক মান পূরণের জন্য খসড়ায় নতুন নিয়ম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এফসিআই বলে যে এই পরিবর্তনগুলি আমাদের খাদ্যশস্যের জন্য একটি বৈশ্বিক মানদণ্ড নির্ধারণ করবে । ক্রয় সংস্থার দাবি যে, এর ফলে সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে এবং তাদের জন্য উন্নত মানের খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে। উপরন্তু, এগুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে ।

গুণগত মানদণ্ডে যেসব পরিবর্তন করা হয়েছে

সূত্র অনুসারে,এফসিআই-এর নতুন খসড়ায় ধানে অনুমোদিত আর্দ্রতার পরিমাণ ১৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৬ শতাংশ করা হয়েছে । বৈদেশিক পদার্থের সীমা ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত ও বিবর্ণ দানার নিম্নসীমা ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।

যদি আমরা ধানের কথা বলি, তাহলে ভাঙা ধানের শতাংশ ২৫ থেকে ২০ এবং আর্দ্রতার পরিমাণ ১৫ থেকে ১৪  শতাংশে কমিয়ে আনা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শস্যের সীমা ১ শতাংশ কমানো হয়েছে। একই সঙ্গে লাল দানা উৎপাদনে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, অর্থাৎ লাল দানা পাওয়া গেলে কেনা হবে না।

আরও পড়ুনঃ সবজি চাষে কৃষকদের জন্য ৪টি সেরা টিপস, খরচ কমবে, আয় বাড়বে দ্রুত

ধান-চালের পাশাপাশি গমের গুণগত মানেও পরিবর্তন করা  হয়েছে। খসড়া অনুসারে, গমের দানায় আর্দ্রতার পরিমাণ ১৪ শতাংশের পরিবর্তে ১২ শতাংশে সুপারিশ করা হয়েছে। বৈদেশিক পদার্থের সীমা ০.৭৫ থেকে ০.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত গমের পরিমাণও ৪ থেকে ২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। শুকনো ও ভাঙা শস্যের সীমাও ৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪ শতাংশ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ হলুদ চাষ: পলিহাউসে হলুদ চাষের সুবিধা, রইল বিস্তারিত

সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে'

বিশেষজ্ঞদের মতে, যাতে কৃষকদের থেকে কম শস্য় কিনতে হয় তাই এই নিয়মবিধি । মধ্যপ্রদেশ সরকারের কৃষি উপদেষ্টা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য কেদার সিরোহি এনডিটিভিকে বলেছেন যে আমি মনে করি এটি এমএসপি বাদ দেওয়ার ষড়যন্ত্র।একদিকে, এফসিআই খাদ্যশস্য সংগ্রহের নিয়ম কঠোর করছে কিন্তু আমদানি সহজ করছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন আবহাওয়ায় কৃষিকাজ করা হয় এবং এখানকার ভূগোলও ভিন্ন। তাই মানের পার্থক্য আছে। এমতাবস্থায় এই নিয়মগুলো কার্যকর হলে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে অনেক সমস্যায় পড়বেন।

English Summary: FCI introduces new rules for buying paddy in MSP, fuss over new draft, what is the reason for farmers' dissatisfaction?
Published on: 14 January 2022, 11:01 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)