কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে হারিয়ে অনায়াসে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে । তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৩৪ জন বিজয়ী কাউন্সিলরের সাথে বৈঠক করেছেন। পৌরসভা সূত্রে খবর, নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা ২৭শে ডিসেম্বর শপথ নেবেন। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি জানিয়েছেন, যে মালা রায়কে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের চেয়ারপার্সন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতা পুরসভার দলীয় নেতা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ডেপুটি মেয়র হবেন অতীন ঘোষ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এটি তৃণমূলের জয় নয়। এ জয় মা, মাটি ও মানুষের। সকলের সমর্থনে বিজয় হয়েছি ।আগে যেভাবে কাজ করেছি । ভবিষ্যতেও একইভাবে কাজ করব। কুৎসা সত্ত্বেও আমরা জয়ী হয়েছি । তৃণমূলে দাম্ভিকতার কোনো স্থান নেই। মানুষকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
আরও পড়ুনঃ Kisan Diwas 2021: কেন ২৩ শে ডিসেম্বরে কিষাণ দিবস পালন করা হয় এবং এর গুরুত্ব কী ?
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন "ছয় মাস পরে, কলকাতা পৌর কর্পোরেশনের কাজের পর্যালোচনা করা হবে। কাজ না হলে ব্যবস্থা নিতে দেরি হবে না। বেশি কাজ করুন এবং কথা কম বলুন। কথা কম আর কাজ বেশি। তিনি আরও বলেন, “কলকাতাকে সেরা করতে হবে।
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নিজস্ব স্বতন্ত্র ইতিহাস রয়েছে। এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয় কারণ স্বাধীনতার সর্বশ্রেষ্ঠ নায়ক নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু কলকাতার মেয়র ছিলেন। ২২ আগস্ট ১৯৩০ থেকে ১৫ এপ্রিল ১৯৩১ পর্যন্ত নেতাজি কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে মেয়রের চেয়ারে ছিলেন। তাঁর পরে, বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায় ১৯৩১ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৩২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মেয়রের দায়িত্ব নেন।
আরও পড়ুনঃ আন্দোলনের সময় ৭৩ জন কৃষকের মৃত হয়েছে,করা হয়েছে ২৭৬ টি মামলা
কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র হন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস। তাঁর কার্যকাল ছিল এপ্রিল ১৯২৪ থেকে ১৯২৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত। এরপর থেকে কলকাতায় ৩৯ জন মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন । এখানে বলে রাখি যে, স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ এবং ১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত কলকাতায় কোনো মেয়র ছিলেন না প্রাথমিকভাবে, মেয়র পদের মেয়াদ ছিল এক বছরের জন্য। ১৯৮৫ সালে, কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন আইন সংশোধন করার পর মেয়রের মেয়াদ এক বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছিল।