কৃষিজাগরন ডেস্কঃ “ডলফিন” ও “মারলিন” দুই সুন্দর জমজ নামের মৎস্য উৎপাদক দল গঠনের উদ্যোগ নিল নন্দীগ্রাম-১ উন্নয়ন ব্লক মৎস্য বিভাগ। দল গঠনের একমাত্র লক্ষ নিরাপদ ও মান সম্মত মাছ উৎপাদন করা এবং একই সঙ্গে মৎস্য দপ্তরের বিভিন্ন প্রকল্প বিষয়ে সাধারন মাছ চাষিদের অবগত করা।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে , “ডলফিন” ও “মারলিন” দুই মৎস্য উৎপাদক গোষ্টির ব্যবস্থাপনায় ১১ই নভেম্বর ২০২২ সকাল ১১টায় ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দূর্গাপুর গ্রামে স্থিত এক মাছের খামারে এই অভিনব বিষয়ের সভার আয়োজন করা হয় । সমগ্র সভা পরিচালনা করেন নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু।
আরও পড়ুনঃ কৃষি যন্ত্র কেনার জন্য ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার
মাছ চাষি সোমনাথ ভৌমিক বলেন, “মৎস্য আধিকারিক সুমন বাবুর উৎসাহে কেরালার জনপ্রিয় “ক্যারমীন” মাছদের চাষ শুরু করেছি, সেই চাষের অভিজ্ঞতা বাকি চাষিদের শোনালাম” ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষক রত্ন মন্টু পট্টনায়ক বলেন, “জৈব পদ্ধতিতে মাছ চাষে লাভ বেশি তেমনি ভোক্তার জন্য নিরাপদ ও মান সম্মত মাছ উৎপাদন করা যায় তাই ধান চাষের পাশাপাশি মাছ চাষকেও পেশা করে উপর্জনের পথ দেখছি” ।
আরও পড়ুনঃ কৃষি যন্ত্রপাতি কেনার জন্য ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার,জানুন আবেদন পদ্ধতি
উপস্থিত অন্যন্য মাছ চাষিরাও মাছ চাষের অভিনব পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরে খুবই খুশি।পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়েই মাছ চাষের খুটিনাটি নিয়ে আলোচনা ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প বিষয়ে জানান মৎস আধিকারিকরা।
এদিনের সভার শেষে উপস্থিত মাছ চাষিরা ভেকুটিয়া সংঘ ভবনে অনুষ্টিত “দুয়ারে সরকার” ক্যাম্পে গিয়ে মৎস্যজীবী নিবন্ধ আবেদন পত্র জমা করেন।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, “মাছ চাষিদের জন্য সরকারি সুযোগ সুবিধা বিষয়ে যেমন জানানো হল তেমনি মৎস্য উৎপাদক দল গঠন করে গুনগত স্বাস্থ্যকর মাছ উৎপাদনের যে উদ্যোগ সেখানে মাছ চাষিদের ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেল”।