ন্যাশনাল ব্যাংক ফর এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট (NABARD) বিহার, সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে তারা রাজ্যের ৩৮ টি জেলায় কৃষিক্ষেত্রে লোণ প্রদানের সুবিধার্থে ২০২১-২২ এর জন্য একটি সম্ভাব্য সংযুক্ত পরিকল্পনা (Potential Linked Plan) প্রস্তুত করেছে।
অধিকন্তু, প্রধান মহাব্যবস্থাপক সুনীল কুমার মহাশয় বুধবার বলেছেন যে, শস্য, পশুপালন, দুগ্ধ, হাঁসপালন, মৎস্যপালন, ছাগল পালন, বৃক্ষরোপণ ও উদ্যান পালন, খামার যান্ত্রিকীকরণ, গোডাউন, সেলফ হেল্প গ্রুপ ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রে লোণ প্রদানের সম্ভাবনা মূল্যায়ন করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, নির্ধারিত পরিকল্পনার প্রাক্কলন রাষ্ট্রীয় সেমিনারে উপস্থাপন করা হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, “কোভিড -১৯ মহামারী অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। একমাত্র কৃষিক্ষেত্রই এমন একটি খাত, যা চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্যশস্য উত্পাদন সর্বকালের উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের বেশি বিক্রি গ্রামীণ অঞ্চলে চাহিদা নির্দেশ করে।”
“কৃষি খাতের সাপ্লাই চেইন এবং রিসোর্স ম্যানেজমেন্টে বেশ কিছু ফাঁক রয়েছে, ফসল সংগ্রহ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা, বিপণন ও লোণ সরবরাহের জন্য ফর্ম ইনপুট সাপ্লাই শুরু করে। ব্যাংকগুলিকে বিহারের কৃষিক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে লোণ প্রদান করা দরকার’, বক্তব্য নাবার্ডের সিজিএম-এর।
করোনার মহামারীর মধ্যে ব্যাংকটি বাণিজ্যিক ব্যাংক, আঞ্চলিক গ্রামীণ ব্যাংক এবং সমবায় ব্যাঙ্কগুলিকে পুনরায় ফিনান্স সরবরাহ করে।
সুনীল কুমার মহাশয় –এর বক্তব্য অনুযায়ী, “আমরা রাজ্য সরকারকে বাৎসরিক ২.৭৫% সুদের হারে লোণ প্রদান করি। ২০২০-২১-এর মধ্যে নাবার্ড এখন পর্যন্ত ১,৮৩৩ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে, যা প্রায় ১,৯০,০০০ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে আশা করা হচ্ছে”।
রিপোর্ট অনুসারে, গ্রামীণ পানীয় জলের সরবরাহ, রাস্তাঘাট ও জলসম্পদ সম্পর্কিত প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। চলতি বছরে আরআইডিএফ (RIDF) -এর আওতায় মোট বিতরণ করা হয়েছে ১,৬০৫ কোটি টাকা।
"আমরা ইতিমধ্যে আজ অবধি ৪,২০২ কোটি টাকার উপর বিতরণ করেছি এবং ৩১ শে মার্চ, ২০২১ সালের মধ্যে মোট ৫,০০০ কোটি টাকার লোণ সহায়তা অতিক্রম করার ক্ষেত্রে আশাবাদী।”
বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, গত বছর নাবার্ডের মোট বিতরণ (পুনঃঅর্থায়ন ও আরআইডিএফ) ছিল ৪,১৪৭ কোটি টাকা।