অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ মৎস্য খাতের অবকাঠামোগত ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় ২০,০০০ কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে ১১,০০০ কোটি টাকা সামুদ্রিক, অভ্যন্তরীণ মৎস্য ও জলজ চাষের কাজে ব্যয় করা হবে। অবশিষ্ট অর্থ ফিশিং হার্বার এবং কোল্ড চেনের মতো অবকাঠামো তৈরিতে (৯০০০ কোটি টাকা) ব্যবহার করা হবে।
২০ লক্ষ কোটি থেকে কৃষি খাতের উন্নয়ন -
অর্থমন্ত্রী বলেন, কৃষি খাতের অবকাঠামো ও রসদ উন্নয়নের জন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিগত বুধবারে কেন্দ্র অর্থনীতির পুনরুত্থানের উদ্দেশ্যে ২০ লক্ষ কোটি প্যাকেজের অংশ হিসাবে ছোট ব্যবসায়ী, অভিবাসী, রাস্তার বিক্রেতারা, ছোট ব্যবসায়ী এবং কৃষকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (PM MATSYA SAMPAD YOJONA) -
নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, “মৎস্য পালন ক্ষেত্রে চাষীদের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে অর্থবছরের ২০ তম বাজেটে প্রধানমন্ত্রীর ‘মৎস্য সম্পদ যোজনা’ ঘোষণা করা হয়েছিল, এই প্রকল্পের আওতায় মৎস্য শিল্পের আধুনিকীকরণ, ট্রেসেবিলিটি, উত্পাদনশীলতা ও মৎস্য চাষের পরে তার মান নির্ধারণ ইত্যাদির উপর মনোনিবেশ করা হয়।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি ২০,০০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প ৫.৫ মিলিয়ন লোককে কর্মসংস্থান দেবে এবং ভারতের মৎস্য রফতানি দ্বিগুণ করতে সহায়তা করবে। জেলেদের জন্য উন্নতমানের নতুন ফিশিং জাহাজ সরবরাহ করা হবে। নতুন ফিশিং হারবারও সেখানে থাকবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সমুদ্রে থাকাকালীন সহায়তা পাবে, এছাড়া তদের সাহায্য করার জন্য কর্মী, বিশেষ নৌকা ও বীমাও দেওয়া হবে। এর ফলে আগামী পাঁচ বছরে ৭০০,০০০ টন অতিরিক্ত মাছের উৎপাদন হবে।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৎস্য খাতে কেজ কালচার, সিউইড ফার্মিং, অর্নামেন্টাল ফিশারি, এবং ল্যাবরেটরি নেটওয়ার্ক সমগ্র ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম চলছে এবং তার উন্নতির দিকে লক্ষ্যও রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, আর্থিক ও সামাজিকভাবে প্রান্তিক শ্রেণীর ক্ষমতায়নে সরকারের মনোনিবেশ করেছে।
তিনি এই বলে তার বক্তব্য শেষ করেন যে, তাদের অন্তর্নিহিত নীতি হ'ল “জনগণকে ক্ষমতায়ন করা, তাদের প্রয়োজনীয় সংস্থান সরবরাহ করা যাতে তারা অধিকার অর্জনের পরিবর্তে নিজের জীবনধারণ ও জীবিকা নির্বাহ করতে পারে। মূলত তাদের লক্ষ্য ভারতকে ‘স্বয়ংনির্ভর তৈরী করা’ অর্থাৎ নিজস্ব কর্মসংস্থান সৃষ্টি - এই বিষয়টি নিশ্চিত করা”।
স্বপ্নম সেন