কৃষিজাগরন ডেস্কঃ অবশেষে সম্পূর্ন রেশন পেতে চলেছেন বন্ধ রায়পুর চা বাগানের কর্মীরা। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ প্রদর্শনের ফলে খাদ্য দফতর এবং ব্লক প্রশাসনের প্রতিনিধিরা গিয়ে পুরো রেশন দেওয়ার আশ্বাস দিলেন।প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে যে পরিবারগুলির নাম অন্ত্যোদয় প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত হয়নি, সেগুলি দিলেই পুরো রেশন দেওয়া হবে।যদিও শ্রমিকদের দাবী,যতক্ষণ না রেশনের পুরো বরাদ্দ তাঁরা পাচ্ছেন ততক্ষণ কেউ রেশন নেবেন না।
প্রশঙ্গত, ২০২২ সালের একটি নির্দেশিকায় রায়পুর চা বাগানের সাড়ে পাঁচশো পরিবারকে অন্ত্যোদয় অন্নপূর্ণা প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছিল। রাজ্য সরকারের নীতি অনুযায়ী, কোনও বাগান বন্ধ হলেই সেখানকার শ্রমিকদের অন্ত্যোদয় প্রকল্পে রেশনের সুবিধা দেওয়া হয়।কিন্তু জলপাইগুড়ির বন্ধ রায়পুর চা বাগানের শ্রমিকদের অভিযোগ, গত ছ’মাস ধরে সেদ্ধ চালের পরিবর্তে আতপ চাল দেওয়া হচ্ছে রেশনে। চালের সঙ্গে পরিবার পিছু ১৩ কেজি করে আটা দেওয়ার কথা থাকলেও কোনও মাসে সাত কেজি, কোনওমাসে আট কেজি আটা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুরো ওজনের আটা দেওয়া হলেও, চালে ওজন কমিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ চাচার ভিন্ন স্টাইল! ছোলা চাষ করতে দেখা গেল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে, ভিডিও ভাইরাল
আর তাতেই প্রশ্ন উঠেছে, বন্ধ বাগানে বরাদ্দ বাকি রেশন যাচ্ছে কোথায়?
আরও পড়ুনঃ কেন সরকার খরিফ মরসুমে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে?
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ দেখানোর পরে, শুক্রবারেও বাগানের শ্রমিকেরা রেশন নেননি।এ দিন খাদ্য দফতরের আধিকারিকেরা বাগানে গিয়ে আশ্বাস দিলেও, পুরো রেশন দাবি করেছেন শ্রমিকেরা। তবে খাদ্য দফতর সম্পূর্ন নথি তৈরি করতে দুমাস সময় চেয়েছে। যদিও শ্রমিকেরা সেই সময় দিতে নারাজ। শুধু রায়পুর নয় ,পাশের জয়পুর চা বাগানেও যত পরিবারকে অন্ত্যোদয় প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, তার থেকে কম রেশন পাঠানো হয় বাগানে, অভিযোগ শ্রমিকদের। জয়পুর চা বাগানের বহু পরিবারের রেশন বকেয়া পড়ে রয়েছে বলে দাবি।
জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “সারা পশ্চিমবঙ্গেই চা শ্রমিকরা রেশনে কম পায়।এটা নতুন কিছু না।তৃণমুল জামানায় এটাই স্বাভাবিক।ঐ জন্যই তো প্রক্তন খাদ্যমন্ত্রী জেলে আছে।কেন্দ্রীয় সরকার সমস্ত খাদ্যে ভর্তুকি দিচ্ছে আর এরা গরিব মানুষের লুট করছে।চা বাগানের পরিস্থিতি আরও ভয়ানক” ।