কৃষিজাগরন ডেস্কঃ এ যেন ‘শেষ হইয়াও হইল না শেষ’! আড়াই দশক পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কেউ সভাপতি হলেন ঠিকই, কিন্তু কংগ্রেসের রাশ রইল গান্ধী পরিবারের হাতেই । সদ্য সমাপ্ত হয়েছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন।নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন শশী তারুর এবং মল্লিকার্জুন খড়গে।তাতে নির্বিঘ্নে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ট মল্লিকার্জুন খড়গে। ফলত গান্ধী দখলেই যে কংগ্রেস থেকে গেল তা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ রইল না।
কে হবেন কংগ্রেসের পরবর্তী সভাপতি? শশী তারুর নাকি মল্লিকার্জুন খড়গে!তার আঁচ শুরু থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। এ অঙ্ক কিন্তু মোটেই কঠিন নয়,বরং ছিল জলের মতো সহজ। স্বয়ং সনিয়া গান্ধীর ‘ইচ্ছাতেই’ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে লড়াই করতে নেমেছিলেন মল্লিকার্জুন খড়গে। শুধু সনিয়া গান্ধীই নন গোটা গান্ধী পরিবারের ‘হাত’ ছিল এই প্রবীণ রাজনীতিকের মাথাতে।যা লড়াই শুরুর আগেই অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছেল শশী তারুরকে।
কিন্তু ৮০ বছরের খড়্গের তুলনায় ৬৬ বছরের তারুর জনপ্রিয়তা নতুন প্রজন্মের কাছে অনেকটাই বেশি। অন্তত সামাজিক মধ্যমে তেমনটাই দেখা যায়।সুদর্শন, সুবক্তা, সুলেখক তো বটেই, তরুণ প্রজন্মের কাছে তারুর অনেকটা ‘খোলা হাওয়া’র মতো।তবে কি তারুরের ‘দক্ষতা’ এবং ‘পরিচিতি’ই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের ময়দানে তাঁর প্রধান অন্তরায় হয়ে উঠল? শোনা যায়, তারুর যদি জনপ্রিয়তার কারণে নতুন ‘ক্ষমতাকেন্দ্র’ হয়ে ওঠেন!তা নিয়ে উদ্বেগ ছিল ১০ জনপথ। যদিও এই বক্তব্যের কোনও আনুষ্ঠানিক সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ এবার রাজ্যেও লাম্পি ভাইরাসের হাতছানি, আক্রান্ত ২
গত ১৭ই অক্টোবর কংগ্রেসের ৯ হাজার জন প্রতিনিধি সভাপতি নির্বচনে অংশ গ্রহন করেছিলেন।দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরের পাশাপাশি সব রাজ্যে কংগ্রেসের প্রদেশ দফতরেও চলেছে ভোটগ্রহণ।
মল্লিকার্জুন খড়গে যে ভোটে জিতে সভাপতি হচ্ছেন, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত ছিলেন কংগ্রেস নেতারা । মল্লিকার্জুন পেয়েছেন ৭৮৯২টি ভোট। অন্যদিকে শশী পেয়েছেন মাত্র ১০৭২টি ভোট। ৬ হাজার ৮২০ ভোটের ব্যবধানে জিতলেন খাড়গে।
১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম কংগ্রেসের সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের বাইরের কেউ বসতে চলেছেন। এর আগে ওই পদে ছিলেন সীতারাম কেশরী।