আজ থেকে আবার বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম। মাস শুরু হতেই এলপিজি-র মূল্য বৃদ্ধি হয়েছিল। ১ লা ডিসেম্বর থেকে কার্যকর ছিল সিলিন্ডারের নতুন দাম, আবার এ মাসেই দ্বিতীয় দফায় মূল্য বৃদ্ধি। গ্রাহককে এবার ৭২০.৫০ টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হবে এলপিজি সিলিন্ডার।
আন্তর্জাতিক হারে প্রত্যাবর্তনের সাথে সঙ্গতি রেখে, ইন্ডিয়ান অয়েলের ভর্তুকিহীন ১৪.২ কেজি ইন্ডেন সিলিন্ডারের মূল্য আজ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এলপিজি সিলিন্ডারগুলি ভারতের বাজার দরে বিক্রি হয়, তবে সরকার ভর্তুকিটি উপযুক্ত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি স্থানান্তর করে। এই ভর্তুকিযুক্ত মূল্যে ১৪.২ কেজির ১২ টি সিলিন্ডার কোটা শেষ হওয়ার পরে, গ্রাহকদের ভর্তুকিবিহীন এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে হবে।
বর্তমানে, সরকার এক বছরে প্রতি পরিবারে ১৪.২ কিলোগ্রামের ১২ টি সিলিন্ডারের ভর্তুকি দেয়। গ্রাহককে অতিরিক্ত গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হলে তা বাজার মূল্যেই কিনতে হবে। সরকার কর্তৃক প্রতি বছর ১২ টি সিলিন্ডারের কোটায় যে পরিমাণ ভর্তুকি সরবরাহ করা হয় তা প্রতি মাসে পরিবর্তিত হয়।
আজ থেকেই কার্যকর সিলিন্ডারের নয়া মূল্য (New price for cylinders effective from today)-
করোনা সংক্রমণে সমগ্র দেশের সাধারণ মানুষের অবস্থা শোচনীয়। এর মধ্যে পুনরায় রান্নার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। এই নিয়ে পরপর চার মাস ধরে রান্নার গ্যাসের দাম বাড়ল। জুলাই মাসে কলকাতায় ভর্তুকিহীন ডোমেস্টিক সিলিন্ডারের দাম ছিল ৬২০ টাকা ৫০ পয়সা, এ মাসের শুরুতেই তা ৫০ টাকা বেড়েছিল, আজ থেকে আরও ৫০ টাকা বেড়ে সিলিন্ডারের সর্বমোট মূল্য হল ৭২০ টাকা ৫০ পয়সা।
জুলাই সহ বিগত মাসগুলিতেও সিলিন্ডারের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে অন্যান্য মাসের তুলনায় ১৪.২ কেজি ভর্তুকিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ এ মাসে অনেকটাই বেশী। ক্রমাগত এই মূল্য বৃদ্ধি মধ্যবিত্তের কপালে ফেলছে ভাঁজ।
বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বিগত বছরে প্রায় ৪০ শতাংশ হ্রাস পেলেও ভারতে গার্হস্থ্য রান্নার সিলিন্ডারের জন্য গ্রাহককে ২০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে স্থানীয় পরিবহন খরচ সংযুক্ত হওয়ায় বহু গ্রাহকের ভর্তুকি বাবদ রাশি ক্রমশই কম আসছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণ (Pricing of cylinders) -
দেশে মুদ্রার এক্সচেঞ্জ রেটের হিসাব ও আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক দরের উপর নির্ভর করে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্দিষ্ট করা হয়। যেহেতু বিষয়টি আন্তর্জাতিক দামের ওপর নির্ভর করে , তাই বিভিন্ন সময়ে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম পরিবর্তিত হয়। তবে বর্তমানে সরকারের লক্ষ্য রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশেই গ্যাসের উৎপাদন বাড়ানোর দিকে।