কৃষিজাগরণ ডেস্কঃ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশের পর এখন উত্তরাখণ্ডেও লাম্পি ভাইরাস ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত, রাজ্যে এই লাম্পি ভাইরাসে ২০,৫০৫ টি ঘটনা ধরা পরেছে ।এবং মোট ৩৪১ টি গরু মারা গিয়েছে । এই বিষয়ে তথ্য দিতে গিয়ে রাজ্যের পশুপালন মন্ত্রী সৌরভ বহুগুনা বলেন, বর্তমানে গাভী লাম্পি থেকে সেরে ওঠার হার ৪০% এবং মৃত্যুহার ১.৬%।
লাম্পি ভাইরাসের কারণে পরিস্থিতির অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী সৌরভ বহুগুনাও পশুপালন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে একটি পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছিলেন যে ভাইরাসের বিস্তার নিরীক্ষণের জন্য সরকার নোডাল অফিসার নিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুনঃ ছাগল পালন করবেন ? পড়ুন বিস্তারিত
ভ্যাকসিন সম্পর্কে তথ্য দিতে গিয়ে মন্ত্রী সৌরভ বহুগুনা বলেন, আমাদের কাছে ৬ লাখ ভ্যাকসিন রয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৫ লাখ ৮০ হাজার টিকা বিতরণ করা হয়েছে। রাজ্য সরকার ৪ লক্ষ টিকা অর্ডার করেছে।
সৌরভ বহুগুনা পশু মালিকদের অনুরোধ করে বলেছেন বলেছিলেন যে প্রতিটি পশুর বীমা করাতে হবে। এর ফলে গবাদিপশুর মালিকরা কোনো ক্ষতি হলে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পাবেন। এছাড়াও পশু মালিকদের জন্য টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০১২০৮৮৬২ জারি করা হয়েছে। এই ভাইরাস সম্পর্কিত যেকোনো তথ্যের জন্য, লাম্পি রোগ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ লাম্পি সংক্রমিত গবাদি পশুর দুধ খাওয়া কি মানুষের জন্য বিপজ্জনক?
এই রোগের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এসওপিও জারি করা হয়েছে। লাম্পি রোগাক্রান্ত এলাকা থেকে পশু কেনাবেচা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হরিদ্বার এবং দেরাদুন জেলায় লাম্পি ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। হরিদ্বারে ১১,৩৫০ টি লাম্পি ভাইরাস এবং দেরাদুনে ৬,৩৮৩ টি আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে ।