Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 16 June, 2021 12:55 PM IST
Mango tree (Image Credit - Google)

বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তত ছয়টি জেলার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কৃষিপণ্য হয়ে উঠেছে আম | আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের ৯৪তম দেশ বাংলাদেশ। তবে আম উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষ ১০-এ। বাংলাদেশেও ফলের রাজা আম। এই দেশে সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় এ ফলের। আর বছর বছর সেই উৎপাদন বাড়ছে। তাই দেশের মানুষের পুষ্টির অন্যতম উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে আম।

শুধু পরিমাণের দিক থেকে আম বাংলাদেশের প্রধান ফল হয়েছে, তা নয়। দেশের অন্তত ছয়টি জেলার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক কৃষিপণ্য হয়ে উঠেছে আম। বছর বছর নতুন নতুন আমবাগান হচ্ছে।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাবে, ২০১৯-২০ আর্থিকবছরে দেশে আম উৎপাদিত হয়েছে ১২ লাখ ২২ হাজার টন। দেশে ২ লাখ ৩৫ হাজার একর জমিতে আমবাগান রয়েছে। প্রতিটি গাছে গড়ে ৭৭ কেজি করে আম উৎপাদিত হয়।

কৃষি অধিদপ্তরের মতামত (Opinion of the Department of Agriculture) :

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, দেশে আমের উৎপাদন ২৪ লাখ টনের মতো। প্রতিবছর প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার আমের বাণিজ্য হয়। আম উৎপাদন থেকে শুরু করে বিপণন, মোড়কীকরণ ও পরিবহন মিলিয়ে এক বিশাল বাজার গড়ে উঠেছে। প্রতিবছর এপ্রিলে কাঁচা আম বাজারে আসে | এবং এ থেকে শুরু হয় এ বাণিজ্য। চলে সেপ্টেম্বরে আশ্বিনা আম বিপণন শেষ হওয়া পর্যন্ত।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক মেহেদী মাসুদ জানিয়েছেন, দেশে প্রতিবছর আমের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে। ফলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে আম রপ্তানির সুযোগও তৈরি হয়েছে।

কিভাবে পৌঁছালো শীর্ষ ১০-এ  (Bangladesh in 10th position):

সাধারণত, ভারতে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদিত হয় | বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ফল উৎপাদনের একটি হিসাব দেওয়া আছে। ২০১৯ সালের এই হিসাবে আম ও পেয়ারার উৎপাদন একসঙ্গে দেখা হয়েছে। হিসাব অনুযায়ী, ভারতে ওই বছর উৎপাদন ছিল প্রায় ২৬ কোটি টন। আম-পেয়ারা উৎপাদনে শীর্ষ ১০টি দেশের তালিকায় ভারত ছাড়াও রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, চীন, মেক্সিকো, পাকিস্তান, মালাবি, ব্রাজিল, থাইল্যান্ড, মিসর ও বাংলাদেশ। এ তালিকা অনুযায়ী, বাংলাদেশে আম-পেয়ারার উৎপাদন প্রায় সাড়ে ১৪ লাখ টন। বর্তমানে, আম বাংলাদেশের এক অন্যতম বাণিজ্যিক ফসল হয়ে ওঠার পাশাপাশি আম উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ শীর্ষ ১০-এ পৌঁছেছে |

বাংলাদেশের ফলের রাজা আম:

দেশে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হওয়া ফল আম। বিবিএসের হিসাবে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশেল সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হওয়া ১০টি ফল হলো আম, কলা, কাঁঠাল, তরমুজ, পেয়ারা, আনারস, বরই, জাম্বুরা, লিচু ও আমড়া। উৎপাদনে আম শুধু এগিয়ে নয়, ব্যবধানও অনেক বেশি। আমের উৎপাদন ১২ লাখ টন, পেছনে থাকা কাঁঠালের উৎপাদন ১০ লাখ টনের মতো। এ ছাড়া কলা ৮ লাখ টন, তরমুজ আড়াই লাখ টন, পেয়ারা ২ লাখ টন ও আনারস ২ লাখ টনের কিছু বেশি উৎপাদিত হয়েছে |

তবে, দেশে ব্যাপক হরে ফল উৎপাদন হলেও মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার কম | বিবিএসের খানা আয়-ব্যয় জরিপ-২০১০ অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু ফল গ্রহণ ছিল গড়ে ৪৫ গ্রাম। ২০১৬ সালের জরিপ অনুযায়ী, সেটা ৩৬ গ্রামে নেমেছে। সার্বিক চিত্রে দেখা যায়, মাথাপিছু ফল গ্রহণের হার সেভাবে বাড়েনি। ২০১৬ সালের পর দেশে আর কোনো খানা আয়-ব্যয় জরিপ হয়নি।

আরও পড়ুন - Post Poll Violence is false: সহিংসতার অভিযোগ মিথ্যা, বঙ্গের আবেদন সুপ্রিম কোর্টে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নাজমা শাহীন মনে করেন, সস্তায় পুষ্টি উপাদান পাওয়ার অন্যতম উৎস আম। দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষের পুষ্টিহীনতা দূর করতে আম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশের গ্রামাঞ্চলের বেশির ভাগ বাড়িতে নিজস্ব আমগাছ আছে। তাই, সাধারণ মানুষের জন্য আম একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টির উৎস হতে পারে |

নিবন্ধ: রায়না ঘোষ

আরও পড়ুন - 7th Pay Commission: কেন্দ্রের সরকারী কর্মচারীরা চাকরি চলাকালীন মৃত্যুতে NPS বা OPS -র সুবিধা পাবেন

English Summary: Mango Farming: Bangladesh" in top ten in mango production in the world
Published on: 16 June 2021, 12:55 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)