সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হল মেগা কাঁঠাল উৎসব। ইশার কাবেরি আহ্বান আন্দোলনের পক্ষ থেকে ২৮ শে মে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ২ হাজারেরও বেশি কৃষক।
এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেছিলেন তামিলনাড়ু এবং কেরালার অগ্রগামী কৃষকরা। এই সভায় বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা গাছ ভিত্তিক কৃষির সুবিধা। কাঁঠালের গুনাগুন এবং কাঁঠালের মূল্য সংযোজন এবং বাজারজাতকরণের পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন।
তামিলনাড়ু এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন ডেপুটি অফ এগ্রিকালচার থিরু হরিদাসের ফার্মে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তাঁর এই ফার্মে ১০০টিরও বেশি জাতের কাঁঠাল রয়েছে। তিনি বলেন, “খাদ্য ও পুষ্টি, অর্থনীতি এবং জীবিকা সহ বিভিন্ন সুবিধার কারণে যতটা সম্ভব কাঁঠাল চাষ করা উচিত। আমি 100 থেকে 150টি জাত চাষ করছি এবং এর স্বতন্ত্রতার কারণে আমাদের কাঁঠাল একটি ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) অর্জন করেছে।“
আরও পড়ুনঃ অবশেষে মিলবে স্বস্তি! ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে এই আট জেলায়
এই সভায় ডাঃ জগনমোহন বলেন, “সাধারণত আমরা এর ফল এবং বীজ থেকে মাত্র ৩৫ শতাংশ কাঁঠাল ব্যবহার করি। বাকি ৬৫ শতাংশের ব্যবহার আমরা এখন শিখছি। এখন আমরা জানি যে কাঁঠাল ক্যানসার, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। পাশাপাশি গমের আটার সঙ্গে গুঁড়ো করা কাঁঠাল ডায়াবেটিস রোগ নিরাময় করে।“
আরও পড়ুনঃ মাছের রোগ-বালাই প্রতিরোধ ব্যবস্থা: ডোজ প্রযুক্তি
লাল কাঁঠাল চাষে কৃষকদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ পর্যবেক্ষণ করে, ভারতীয় উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ ডঃ করুণাকরণ বলেন, "সম্প্রতি, অনেক কৃষক এটি চাষে এগিয়ে আসছেন। যদিও প্রায় সব ধরনের কাঁঠালই পুষ্টিকর, সিড্ডু এবং শঙ্করা। কাঁঠালের সবচেয়ে পুষ্টিকর দুটি জাত।"