৩১ জুলাইয়ের মধ্যে গোটা দেশে ‘এক দেশ এক রেশন’ (One Nation One Ration Scheme) ব্যবস্থা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই ব্যবস্থা চালু করার জন্যগ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক। তাইবাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রাহকদের আধার সংযুক্তিকরণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য খাদ্য দফতর। ইতিমধ্যেই এই কাজের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছেএকটি বেসরকারি সংস্থাকে। তারাই বাড়ি বাড়ি লোক পাঠিয়ে রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণের কাজ করবে।
খাদ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে মোট রেশন কার্ডের সংখ্যা ১০ কোটি ৩০ লক্ষ। আধার সংযুক্তিকরণ হয়ে গেলে, রেশন ডিলারদের কাছে থাকা ই-পস মেশিনের মাধ্যমের অনলাইন মারফত যুক্ত হয়ে যাবে। যার ফলে খাদ্যদ্রব্য গ্রাহকরা নিলেই সঙ্গে সঙ্গে খাদ্য দফতর জানতে পেরে যাবে ওই গ্রাহকের পরিচয়। যা কেন্দ্রীয় সার্ভারে যুক্ত হয়ে যাবে।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘ওই সংস্থার সদস্যেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংযুক্তিকরণের কাজ করবেন। এই কাজে যাতে রাজ্যের একজনও বাদ না যান, সে কারণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই কাজ করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘রাজ্যে মোট ১০ কোটি ৩০ লক্ষ রেশন কার্ড রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট যে এক দেশ এক রেশনকার্ডেরকথা বলেছে, তা স্পষ্ট করে বলা প্রয়োজন।ন্যাশনাল ফু়ড সিকিউরিটির কার্ডটি যাঁরা পেয়েছেন তাঁরাই কেবল এক দেশ এক রেশনকার্ডের আওতায় আসবেন। এমন কার্ডের সংখ্যা ৬ কোটি ১ লক্ষ। রাজ্যের যে রেশন কার্ডটি রয়েছে আরকেএসওয়াই-১ ও ২। সংযুক্তিকরণের ফলে এই কার্ডধারীরা রাজ্যের যে কোনও জায়গা থেকে রেশন নিতে পারবেন।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য (Purpose of the scheme):
নতুন এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্যই হলো, দেশের যে কোনও প্রান্তে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন না। অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করা শ্রমিক এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম যাতে দ্রুত অন্তর্ভুক্ত করা হয় সে বিষয়েও কেন্দ্রকে পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত | এই প্রকল্প চালু হলে পরিযায়ী শ্রমিকদের আরও সুবিধা হবে। কারণ, এই প্রকল্পের আওতায় বাংলার কোনও পরিযায়ী শ্রমিক দেশের অন্য যে কোনও রাজ্যে নিজের অংশের রেশন তুলতে পারবেন। ফলে খাদ্যবণ্টন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়ে যাবে। এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা লাভবান হবেন।
আরও পড়ুন - ২৯ কোটি কৃষক প্রধানমন্ত্রীর ফসল বিমা যোজনার আওতায় আবেদন করেছেন
এই প্রকল্পের সাহায্যে পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবারের খুবই উপকৃত হবেন | একই পোর্টালের মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে রেশনের সুবিধা নিতে পারবেন খুব সহজেই |
নিবন্ধ: রায়না ঘোষ
আরও পড়ুন - Corona 3rd Wave: করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে রইলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য