বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠজুড়ে এখন মুগ ডাল। মাঠভর্তি মুগ ডালের ফলন দেখে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ত জমিতে স্বল্প খরচ আর স্বল্প সময়ে উচ্চ ফলনশীল বারি মুগ-৬ চাষ করে খুশি কৃষকেরা।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, পটুয়াখালী জেলায় প্রায় ১ লাখ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল চাষ হয়েছে। যার বড় একটি অংশ বারি মুগ ডালের দখলে। এ বছর ৮৯ হাজার হেক্টর মুগ ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশা করে কৃষি বিভাগের।
ধান কাটার পর মুগ ডাল চাষ শুরু করেন কৃষকেরা। তবে শুরুতে কিছুটা পোকার আক্রমণ দেখা দেয়। পরে জেলার কৃষি বিজ্ঞানীদের পরামর্শে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এখন ফলন ভালো হয়েছে।
আরও পড়ুন ঃ শীর্ষ কৃষি ব্যবসার ধারণা 2022: স্বল্প বাজেটে এই কৃষি ব্যবসা শুরু করে ভাল মুনাফা অর্জন করুন
উপজেলার কৃষক চাঁন মিয়ায় আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘জেলার মধ্যে প্রতি বছর মুগ ডালের ফলনে আমাদের উপজেলা প্রথম হয়। এবারও ফলন ভালো হওয়ায় বিষয়ে আশাবাদী আমরা।’
কৃষক মজিবুর গাজী বলেন, ‘বারি মুগ-৬ চাষ করে এবার ভালোই ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এখন কৃষি বিভাগ যদি আমাদের উন্নতমানের যন্ত্রাংশ দেয় তাহলে আমাদের আর কষ্ট থাকবে না।’
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন , ‘এবার বারি মুগ-৬ চাষে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। আমরাও কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে থেকে সহযোগিতা করেছি।’
আরও পড়ুন ঃ বৈশাখ মাসে পাট চাষে কৃষকদের কি কি করণীয়
মিডিয়া রির্পোট অনুযায়ী, বাংলাদেশের শতকরা ৬০ ভাগ মুগ ডাল দক্ষিণাঞ্চল থেকে যায়। গত কয়েক বছর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা উদ্ভাবিত বারি মুগ-৬ ও ৮ এবং বারি খেসারি ডালের অগ্রযাত্রা দেখা গেছে। তাই এক ফসলি জমিকে দ্বিফসলি করা আর দ্বিফসলি জমিকে তিন ফসলি করার কাজ শুরু করেছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট।’