দাক্ষিণাত্যে স্বল্প সেচে উচ্চফলনশীল ধান উৎপাদন

DRR Dhan 44 (IET 22081) এই ধরণের চালটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে বিহার, উত্তরাখণ্ড ও হরিয়ানাতে যেখানে সেচের জলের প্রচুর্য রয়েছে।

KJ Staff
KJ Staff

DDR Dhan44 কে বর্তমানে খরাপ্রবণ এলাকায় স্বল্প সেচে অধিকফলনশীল ধান হিসেবে পরিগণিত করা হচ্ছে। তেলেঙ্গানা রাজ্যের কৃষকরা রবি ও খারিফ মরশুমে এই ধান চাষ করেছে হেক্টর প্রতি ৮ টন। তাদের বক্তব্য অনুসারে এই ধান বীজের উৎপাদন এতটাই সহজ যে খুব অল্প পরিশ্রমে ও খুব স্বল্প সেচে( ফোয়ারা সেচ পদ্ধতিতে) অধিক পরিমাণে উৎপাদন পাওয়া যাচ্ছে। অধিক খরা প্রবণ অঞ্চলে খুব তাড়াতাড়ি এই ধানের উৎপাদন করা যায় এবং উৎপাদিত ধানের গুণমানও অত্যন্ত ভালো। এই ধান্যপ্রজাতিতে স্থানান্তর চাষ ও স্থানীয় চাষ দুটো ক্ষেত্রেই চাষ করা যাচ্ছে এবং এদের জমিতে যদি অত্যাধিক পরিমাণে আগাছাও থাকে তবুও তাদের উৎপাদন ব্যাহত হয় না।

DRR Dhan 44 (IET 22081) এই ধরণের চালটি প্রথম প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে বিহার, উত্তরাখণ্ড ও হরিয়ানাতে যেখানে সেচের জলের প্রচুর্য রয়েছে।

এই চালের খরা সহ্যক্ষমতার মধ্যে একটু জটিলতা রয়েছে, সেই কারণে প্রথম পর্যায়ে খরা প্রবণ এলাকায় বা নিচু জমিতে এদের উৎপাদন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় নি। এরপর এই ধানের উন্নয়ন করা হয় হায়দ্রাবাদের রাজেন্দ্রনগরে ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব্‌ রাইস রিসার্চ সেন্টার-এ। ভারতের এই ধান্য গবেষণা কেন্দ্রে প্রতিকূল পরিবেশে উৎপাদিত ধানের বিষয়ে গবেষণা করা হয়, যে সমস্ত ধান এশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার উষর জমিতে ভালোভাবে অধিক উৎপাদন দিতে সক্ষম। যদিও DRR Dhan 44 প্রাথমিক ভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিলো সেচপ্রভাবিত এলাকায় উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য, কিন্তু পরবর্তী পর্যায়ে এই ধান স্বল্প সেচ প্রভাবিত এলাকায়ও যথেষ্ট পরিমাণ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সমর্থ হয়।

এই ধানের উৎপাদন সারা দেশে বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক ভাবে সাফল্য লাভ করেছে-যেমন সাবাগিধান ২৫.৪% ও নরেন্দ্র ৯৭ এই দুটি ধানের পরীক্ষামূলক উৎপাদন দেশে সবথেকে বেশি হয়েছে, তাছাড়া আলাদাভাবে উত্তরাখণ্ডে পান্ট ধান 11 ৯.৮%, হরিয়ানায় গবিন্দ ধান ৩১.৯৭% ও বিহারে রাজেন্দ্র ভাগবতি ও প্রভাত এই দুই জাতের ধান ৩৪.৭২% সফল হয়েছে।

DRR Dhan 44 এর উচ্চমানের সস্যদানা এবং সকল প্রকার প্রতিকূল বিষয় যেমন খরা, রোগপোকার আক্রমণ, ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণ, পাতার ঝল্‌সা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা এই ধানকে বেশি জনপ্রিয়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও এর সবথেকে বড় বৈশিষ্ট হল এই ধান ফসল কাটার সময়ও খরা সহ্য করতে সক্ষম ও পুষ্টিদ্রব্য শোষণ ক্ষমতাও ব্যাপক।

২০১৬ সালে খারিফ মরশুমে এই ধানের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎপাদন করা হয় তেলেঙ্গানার ফারুকনগর ও মেহবুবনগর গ্রামে। প্রথম পরীক্ষামূলক জাতটি ছিলো MUT 1010। ওই গ্রাম দুটির কিছু কৃষক মোট ৫ হেক্টর জমিতে এই উচ্চফলনশীল ধানের উৎপাদন করেন, এবং তারা অন্যান্য বারের তুলনায় ১১.৬৭% বেশি উৎপাদন পেয়েছিলেন। তাদের বক্তব্য অনুসারে তারা এই ধান চাষ করে জথেষ্ট আনন্দিত হয়েছেন এবং পরবর্তী খারিফ মরশুমেও তারা এই ধানের উপরই চাষ চালিয়ে যেতে চান। চলতি মরশুমে এই উচ্চপ্রজাতির ধানের ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে এবং চাষের জমিও চাষিরা বাড়াতে আগ্রহী।

- প্রদীপ পাল

Published On: 27 June 2018, 05:28 AM English Summary: South indian rice

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters