
বায়োস্টিমুলেন্টস –এর ব্যবহার কৃষকদের ফসলে উচ্চ ও উন্নত গুনমানের ফলন নিশ্চিত করে। সরকারী তথ্য অনুযায়ী, ভারতে ১৫,০০০ কোটি টাকার বায়োস্টিমুলেন্টস-এর বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য কয়েকটি নির্দেশাবলী কেন্দ্র শীঘ্রই ঘোষণা করবে বলে জানা গিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অন্যান্য কীটনাশক এবং সার –এর মতো এই পণ্য সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় না এবং কার্যকারিতার কোনও শংসাপত্র ছাড়াই এগুলি বিক্রি করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, কেন্দ্র এ জাতীয় পণ্যগুলির জন্য একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করতে চলেছে।
কৃষি মন্ত্রকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, “বিধি প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত নির্দেশিকা অনুসারে, বায়োস্টিমুলেন্টগুলি প্রথমে সরকারের অধীনে নিবন্ধিত করতে হবে এবং বাজারে বিক্রির আগে কার্যকারিতা প্রমাণ করতে হবে। এছাড়াও পণ্যে সঠিক লেবেল অর্থাৎ প্রস্তুতকারকদের নাম, উপাদান এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ ইত্যাদি বিবরণ থাকতে হবে। তিনি আরও জানান যে, অনেক সংস্থা কোনও প্রামাণিক সূত্র ছাড়াই বায়োস্টিমুলেন্টস উত্পাদন শুরু করেছে, ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। কারণ, কোন কর্তৃপক্ষ না থাকায় এর কার্যক্ষমতা নিশ্চিত না করে অবাধে বিক্রি করার ফলে কৃষকরা প্রতারিত হচ্ছেন। সুতরাং নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সঠিক গুণমানের পণ্যগুলি নিশ্চিত করবে, যা কৃষকদের প্রতি হেক্টরে উন্নত ফলনে সহায়তা করবে।

এই শিল্প এখনও ক্ষুদ্র পর্যায়ে রয়েছে, তবে জৈব পদ্ধতিতে উৎপন্ন পণ্যগুলির ক্রমবর্ধমান চাহিদা সহ, জৈব কৃষিকাজের চাহিদাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা পরবর্তীকালে বায়োস্টিমুলেন্টস-এর চাহিদাকেও বাড়িয়ে তুলবে।
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “নিয়ন্ত্রক সংস্থার অভাবে বায়োস্টিমুলেন্টস শিল্পের এখনও সঠিকভাবে পরিচালনা করা হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশাবলী ঘোষণার পর শিল্পটি নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেলে বাজারে শুধু সংশায়িত বায়োস্টিমুলেন্টস সরবরাহকারী সংস্থাগুলিই থাকবে এবং যাদের শংসাপত্র নেই, তারা আর এই পণ্য বিক্রি করতে পারবেন না। অনুমতি সীমাক্রমে ০.০১ পিপিএমের ঊর্ধে বায়োস্টিমুলেন্টস-এর কোনও কীটনাশক থাকবে না ”।
স্বপ্নম সেন
Share your comments