কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২২-২৩ পেশ করে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন যে এই বছর কৃষকদের ডিজিটাল পরিষেবা দেওয়ার উপর জোর দেওয়া হবে । অর্থাৎ ডিজিটাল কৃষিতে ফোকাস থাকবে। কৃষকদের ডিজিটাল ও হাই-টেক সুবিধা দিতে সরকার পাবলিক ও প্রাইভেট পার্টনারশিপ অর্থাৎ পিপিপি-তে কাজ করবে।কৃষি ফসলের মূল্যায়ন এবং কীটনাশক স্প্রে করতে ড্রোনের ব্য়বহার করা হবে । কৃষিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্য়বহার করে কৃষকদের এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। কৃষি খাতে ড্রোন ব্য়বহারের জন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই জারি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃগ্রামীণ ভূমিহীন কৃষি মজদুর যোজনা: পাবেন 6000 টাকার আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে, রইল আবেদন পদ্ধতি
প্রতিটি কৃষকের একটি অনন্য ডিজিটাল পরিচয়পত্র (ফার্মার্স আইডি) তৈরি করতে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক কিছু বেসরকারি সংস্থার সাথে কাজ করছে। এতে কৃষকদের ব্যক্তিগত বিবরণ, তাদের চাষ করা জমির তথ্য, উৎপাদনের অনুমান এবং কৃষি প্রকল্পের সুবিধা ইত্যাদি পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের কাছে ১১ কোটি কৃষকের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে তাদের চাষযোগ্য জমি, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং মোবাইল নম্বর অন্তর্ভুক্ত থাকবে।এর মাধ্যমে, জমির নথি একত্রিত করা এবং ডাটাবেস প্রস্তুত করার মাধ্যমে কৃষকদের প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করা সহজ হবে।
জমির রেকর্ড এবং কৃষকের তথ্য
কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার অধীনে সংগৃহীত কৃষকদের বিবরণ এবং রাজস্ব রেকর্ডের ডিজিটালাইজেশনের ভিত্তিতে কৃষকদের একটি ডাটাবেস তৈরি করবে। দেশে ৬,৫৫,৯৫৯ টি গ্রাম রয়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৬ লাখ গ্রামের রাজস্ব রেকর্ড ডিজিটাল করা হয়েছে। ভূমি রেকর্ড ডাটাবেসের সাথে কৃষকদের বিবরণ সংযুক্ত করে, সরকার এমন একটি ডাটাবেস তৈরি করছে যাতে তাদের বারবার যাচাইয়ের প্রয়োজন না হয়।এর ফলে সাধারণ কৃষকদের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পরিকল্পনার সুবিধা নেওয়া সহজ হবে।
দাবি কি
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকের দাবি, ডিজিটাল কৃষি মিশনের মাধ্যমে কৃষকদের জীবন আরও সহজ হবে। তাদের পক্ষে ফসল বিক্রি করা আরও সহজ হবে ।কৃষিকে প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত করলে উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়বে। কাজে স্বচ্ছতা থাকবে।
আরও পড়ুনঃ PM আবাস যোজনার অধীনে 48000 কোটি টাকা বরাদ্দ; 60 লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি