রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের দিক থেকে ভারত ইতিমধ্যে চতুর্থ স্থানে পৌঁছেছে। কিছুদিন পূর্বে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী মনে করা হয়েছিল, ভারতের মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। তবে এ সপ্তাহে ভারতের কোভিড -১৯ এ সংক্রামিত হয়ে মৃতের সংখ্যা প্রতিদিনের রেকর্ডের সাথে নয় হাজার ছাড়িয়েছে।
রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির দ্বারা প্রকাশিত সর্বশেষ সংখ্যা অনুযায়ী, নিশ্চিত হওয়া মামলার পরিসংখ্যানের পরিমাণও সবচেয়ে বেশী ১২,০০০ ছাড়িয়েছে এবং দেশে সংক্রামিতের ৩.৩২ লক্ষ তে পৌঁছেছে। তথ্য অনুসারে, রাজ্যে এখন বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী দ্বারা গৃহীত পদক্ষেপগুলি অব্যাহত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী মোদী এই নিয়মে কিছু পরিবর্তন করতে চলেছেন-
১) শহর ভিত্তিক পরিকল্পনা করা প্রয়োজন।
২) পরিস্থিতি উন্নয়নে কেন্দ্র রাজ্যগুলির সাথে পরামর্শ করে জরুরি পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। মুম্বই, দিল্লি, আহমেদাবাদ, চেন্নাই, সুরাট, পুনে, ইন্দোর, কলকাতা – এই স্থানগুলিতে সংক্রামিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। সুতরাং সরকারের সাথে সাথে সাধারণ মানুষকেও কিছু সতর্কতা অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে।
২) অগমেন্ট টেস্টিং এবং সংক্রামিতদের চিকিৎসা কার্য পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় শয্যা এবং পরিষেবাগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি প্রয়োজন।
৩) মোট মামলার মধ্যে বেশী সংক্রামিতের সংখ্যা মুম্বই, মহারাষ্ট্র, দিল্লী, কলকাতা তে।
৪) বর্ষায় বাড়তে পারে সংক্রামিতের সংখ্যা, সেই অনুযায়ী সতর্কতা নিতে হবে।
উত্তর প্রদেশে, ৫০০ এরও বেশী নতুন করে সংক্রামিতের সংখ্যা বেড়েছে এবং এখন সংখ্যা ১৩,০০০ এরও বেশী হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ৩৮৫। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ কোভিড -১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াইকে "অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ" বলে অভিহিত করেছেন এবং কর্মকর্তাদের বলেছিলেন রোগীদের চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গে একজন প্রবীণ আধিকারিক বলেছেন যে, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর রাজ্যে প্রত্যাগত বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিককে অস্থায়ী আশ্রয় দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকার ২০০ টি 'নিরাপদ বাড়ি' স্থাপন করেছে।
তামিলনাড়ুতে সংক্রমণের সংখ্যা প্রায় ৪২,৬৮৭, নতুন কেস ২,০০০, যার মধ্যে চেন্নাই থেকে ৩০,০০০ এরও বেশী রয়েছে। রাজ্য সরকার চেন্নাই ও আশেপাশের জেলাগুলিতে সরকারী পরিচালিত হাসপাতালে আরও ২ হাজার নার্স নিয়োগের ঘোষণা করেছে।
ইতিমধ্যে সংক্রামিত মানুষদের থেকে ১.৬ লক্ষেরও বেশী মানুষ সুস্থ হয়ে উঠেছে, কিন্তু দেশে প্রায় দেড় লাখ সক্রিয় মামলা এখনও রয়েছে।
ভারতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্য মহারাষ্ট্রে ৩,৪২৭ টি নতুন কেস এবং মুম্বইয়ের ১১৩ জন মারা গেছে, এই রাজ্যের সার্বিক মামলার সংখ্যা ১.০৪ লক্ষেরও বেশীএবং এখন এই সংখ্যা ৩,৮৩০-এ দাঁড়িয়েছে। মুম্বাই শহরে এখনও পর্যন্ত ৫৬,৮৩১ টি মামলা এবং ২,১১৩ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, কেরল, পুডুচেরি, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, আসাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মিজোরাম, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাব, চণ্ডীগড়, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের অন্যান্য রাজ্যের মধ্যেও নতুন মামলার খবর পাওয়া গেছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৬ ও ১৭ ই জুন মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করতে চলেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজধানীর বেড ক্রাইসিস নিয়ে আলোচনার জন্য দিল্লির সিএম অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং এলজির সাথে সাক্ষাত করবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে চেন্নাইয়ে লকডাউন পিরিয়ড বেড়ে জুনের শেষ পর্যন্ত হলেও এখনই পশ্চিমবঙ্গে তা জুনের পরেও বাড়তে চলেছে কি না, সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী কিছু স্পষ্ট ঘোষণা করেননি। দুদিনের বৈঠকের পর সমস্ত তথ্য জানা যাবে।
Related Link - এনআইআরএফ র্যাঙ্কিং ২০২০ (NIRF Ranking-IIT), দেশের সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির তালিকা
জেআরএফ, লিগাল অফিসার সহ কৃষিক্ষেত্রে (Agriculture Jobs 2020) বিভিন্ন পদে চাকরির সুযোগ