ভারতে এলপিজির দাম রাষ্ট্রায়িত তেল সংস্থাগুলি দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং মাসিক ভিত্তিতে এটি সংশোধিত হয়। ২০২০ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে ওএমসি এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য সংশোধন করার বিষয়ে একটি ঘোষণা করবে বলে আশা করা যায়।
করোনা সঙ্কটের সময় মানুষের সুবিধার জন্য দেশীয় এলপিজির দামকে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের ১ লা ডিসেম্বর থেকেও নির্ধারিত মূল্য সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়কই থাকবে। তেল বিপণন সংস্থাগুলি আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত হারের উপর নির্ভর করে প্রতি মাসের প্রথম দিনে এলপিজির দাম সংশোধন করে।
এলপিজি কী?
LPG বা লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস হ'ল একটি সাধারণ ভার্সেটাইল জ্বালানী, যা সাধারণত ভারতীয় বাড়িতে রন্ধন কার্যে ব্যবহৃত হয়। এলপিজির উপাদানগুলি হ'ল প্রোপেন এবং বুটেন, জ্বলনযোগ্য হাইড্রোকার্বন জ্বালানী গ্যাস এতে ব্যবহৃত হয়।
এলপিজি তেল পরিশোধন করার সময় উত্পাদিত হয় বা প্রাকৃতিক গ্যাস উত্পাদন প্রক্রিয়া চলাকালীন নিষ্কাশিত হয়। এলপিজি বিষাক্ত নয়, তবে এটি উচ্চ মাত্রায় জ্বলনযোগ্য। অতএব, গ্যাস সঞ্চয় বা পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত সরঞ্জাম ও নিয়মাবলী সর্বদা উচ্চ সুরক্ষার সাথে মেনে চলা আবশ্যক।
এলপিজি গ্যাস মূলত রান্নার কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় ভারতের প্রায় প্রত্যকেরই পরিবার পিছু একটি এলপিজি সংযোগ রয়েছে। এলপিজির মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করে কারণ বর্তমান বাজারের পরিস্থিতি অনুযায়ী জ্বালানির দাম ক্রমশই বাড়ছে।
ভারত সরকার বর্তমানে গ্রাহকদের দেশীয় এলপিজি সিলিন্ডার ক্রয়ে ভর্তুকি সরবরাহ করছে। সিলিন্ডার কেনার পরে ভর্তুকির পরিমাণ সরাসরি ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
ভর্তুকির পরিমাণ প্রতি মাসে পরিবর্তিত হয় এবং বিদেশী বিনিময় হারের সাথে যুক্ত হওয়া আন্তর্জাতিক বেঞ্চমার্ক এলপিজির মূল্যের পরিবর্তনের উপর নির্ভরশীল।
Image source - Google