বহু নাটকীয়তার পর পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী হলেন মুসলিম লীগের প্রধান শাহবাজ শরিফ। অনাস্থা ভোটে ইমরান খানের বিদায়ের পর পাকিস্তানের পার্লামেন্ট বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছে।
সোমবার দুপুর ২টায় পাকিস্তানে পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোটাভুটিতে শাহবাজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী দৌড়ে শাহবাজের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ এর ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্ মাহমুদ কুরেশি।
কিন্তু কুরেশিসহ পিটিআইয়ের সব সদস্য অধিবেশন বয়কট করায় কার্যত শাহবাজের জন্য মাঠ ফাঁকা হয়ে যায়। পার্লামেন্টের এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনই একমাত্র কর্মসূচি ছিল।
পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি শাহবাজ শরিফ ও ইমরানের দল পিটিআই এর শাহ্ মাহমুদ কুরেশি রোবিবার প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ার তাপমাত্রা ছাড়াল ৪৫ ডিগ্রি, কৃষকদের জন্য় রইল কিছু পরামর্শ
ইমরানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পার্লামেন্টের যে বিরোধীদলীয় জোট কাজ করেছে তাদের নেতা শাহবাজ শরিফ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন পেয়ে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন বলে আগেই ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল।
শাহবাজ পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হলেন। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাই। নওয়াজ তিন মেয়াদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। শেষবার ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ “জৈব খাদ্য রপ্তানি ভারতীয় অর্থনীতিকে বদলে দিতে পারে, বিশেষ ভুমিকা রয়েছে ডেইরির” আমিত শাহ
এতদিন শাহবাজের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) বা পিএমএলএন দেশটির অন্যতম প্রধান বিরোধীদল হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। এখন শাহবাজের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মধ্যে দিয়ে তারাই ক্ষমতাসীন দল হল।
পাকা ও দক্ষ প্রশাসক হিসেবে শাহবাজের সুনাম আছে। তিনি তিন মেয়াদে পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন।