ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে দেশে তাপমাত্রা আকাশচুম্বী হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে শত শত একর ফসলি জমি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে কৃষকদের আয়ের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়ছে, লাখ লাখ লোকসান গুনতে হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে শত শত বিঘা ফসল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে ।
খবর উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলার। শুক্রবার বিকেলে গাওতাল খুর্দ কালানে গমের ফসলে আগুন লাগে। আগুনে ১৬ জন কৃষকের প্রায় আড়াইশ বিঘা গম ফসল পুড়ে গেছে। অন্য খবর বান্দা জেলার মালিগাই গ্রামের। এখানেও শুক্রবার বিকেলে একটি গমের ক্ষেতে আগুন লাগে। আগুনে প্রায় এক হাজার বিঘা গম পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিং’, ১২২ বছরে বাংলায় এমন মার্চ মাস প্রথম
মদনাপুরের নাহরোসা গ্রামের এক একর গমের ফসলেও আগুন লেগেছে। যাদের খামারে আগুন লেগেছে তাদের অভিযোগ, অজ্ঞাত ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগিয়েছেন। শাহজাহানপুর জেলার কালান থানা এলাকার সুখনাইয়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও আগুনের খবর পাওয়া গেছে। শ্যামসিংহের ক্ষেতে আগুন লেগে দুই একর গমের ফসল পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুনঃ গরমের কবলে গোটা রাজ্য় , বিপাকে সাধারণ মানুষ থেকে কৃষক
শুক্রবার দুপুর ১টার পর বাদেলা ও কোটাবাড়ি গ্রামে আগুন লাগে। রিপার খড় দিয়ে তৈরি স্ফুলিঙ্গের কারণে মাঠে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। জালালাবাদের আজমপুর গ্রামে ১০০ বিঘা ফসল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া শাহজাহানপুরের মির্জাপুর এলাকায় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে ২০০ বিঘা গমের ফসল পুড়ে গেছে।
পশ্চিম দিক থেকে প্রবল বাতাসের কারণে আগুন লেগেছে বলে জানা গেছে। উত্তরপ্রদেশের শাহজাহানপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে আগুনে লক্ষাধিক বিঘা ফসল পুড়ে গেছে এবং লক্ষাধিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতির হিসাব করছে রাজস্ব বিভাগ। এরপর কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এটি প্রধানত গম নিয়ে গঠিত।