কৃষি জাগরণ ডেস্কঃ ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই তৃণমূল দাবি করে এসেছে তাঁদের আমলেই রাজ্যের কৃষকদের হাল ফিরেছে। বিভিন্ন সময় বাংলার কৃষকদের আয় বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেই নিজের সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা গিয়েছে। এমনকী তাঁর সময়কালে বাংলার কৃষকদের আয় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে বলে দাবি করেছেন। এবার যেন তাঁর সেই দাবিকেই মান্যতা দিল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব এগ্রিকালচার বা আইসিএআর (ICAR)। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই রীতিমতো উচ্ছ্বাসের ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে বাংলার প্রশাসনিক মহলে।
তৃণমূলের দাবি, ক্ষমতায় আসার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে সমস্ত কৃষকমুখী প্রকল্প চালু করেছেন তার হাত ধরেই এত বড় সাফল্যের মুখ দেখছে বাংলা। বড় অবদান রয়েছে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের। এই প্রকল্পের হাত ধরে রাজ্যের প্রায় ৭০ লক্ষের বেশি কৃষককে বছরে দুবার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃএই সময়ে ফুলকপি চাষ করলে আয় হবে দ্বিগুন
তবে শুধু ধান-আলুর পাশাপাশি বাংলার কৃষকদের আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পশুপালনের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে আইসিএআরের রিপোর্টে বলা হয়েছে। শনিবার কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার এই রিপোের্টটি সামনে আনেন। তাতেই দেখা যাচ্ছে ছোট কৃষকদের পাশাপাশি বড় কৃষক অর্থাৎ যাদের ১০ হেক্টরের বেশি জমি রয়েছে তাঁদের আয় ৩৭৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। এই তালিকায় আবার বাংলার সঙ্গে একইসঙ্গে শীর্ষস্থানে রয়েছে পদুচেরি।
আরও পড়ুনঃ৮ মাসে প্রায় ৬০০ কৃষকের আত্মহত্যা, দেশ কি কৃষি-সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছে?
২০১৯ সাল থেকে ৮৬ লক্ষের বেশি কৃষককে দেওয়া হয়েছে বার্ধক্য ভাতা। এছড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সহ আরও একাধিক সময়ে চাষাবাদে ক্ষতির মুখ দেখলেও একাধিক সময়ে বড় ঋণ মকুবের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলার সরকার। এমনকী দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণও। ফলে প্রাথমিকভাবে ক্ষতির মুখ দেখলেও তার ধাক্কা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বলে মত ঘাসফুল শিবিরের। যার জেরে কোভিডের সময়েও চরম দুর্দশার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বাংলার কৃষক পরিবারগুলি।