এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 11 February, 2021 2:35 PM IST
Women Farmer Monica

পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার শান্তিপুর ব্লকের অন্তর্গত পানপাড়া গ্রামের মাঝ বয়সী গৃহবধূ মনিকা দে মজুমদার আত্মবিশ্বাসী পশুপালক। কৃষিজীবী পরিবারের সদস্য মণিকা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সম্পন্ন কৃষক পরিবারে। ছোটবেলা থেকেই মনিকার আগ্রহ ছিল পশুপালনের উপর - স্বাভাবিকভাবেই বিবাহের পর পশুপালন করার জন্য স্বামীকে রাজি করাতে কোনো অসুবিধা হয় নি। একদিকে কৃষি, অন্যদিকে পশুপালন - বেশ স্বচ্ছন্দর সাথেই চলছিল মনিকার পরিবার। 

মনিকার পশুপালন (Animal Rearing) - 

গরু এবং ছাগল - দুটোই পালন করে মনিকা। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় মাঝে মাঝে পশুর ছোটোখাটো অসুখ হলেও অভিজ্ঞ চোখে সহজেই রোগের লক্ষণ দেখে ওষুধের ব্যবস্থা করতো। পাশাপাশি গ্রামের প্রাণিমিত্রা দের কাছ থেকেও সাহায্য পেতো। এভাবেই ধীরে ধীরে একজন সফল পশুপালক হিসেবে এলাকায় মনিকার  যথেষ্ট পরিচিতি আছে। 

কিন্তু সমস্যা হয় লকডাউন-এর সময়। হঠাৎই গরুর খাওয়া কমে যায় এবং দুধের পরিমানও কমে যায়। প্রথমে নিজের অভিজ্ঞতায় কিছু ওষুধ দিলেও কাজে আসে নি। লকডাউন-এর জন্য সরকারি হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারে নি। এরই মধ্যে গ্রামের একজন কৃষক-এর মাধ্যমে পরিচয় ঘটে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন -এর প্রোগ্রাম সাপোর্ট সুজয় ব্যানার্জীর সাথে এবং তাঁরই উদ্যোগে মনিকা পশুপালনের উপর একটি অনুষ্ঠানে থাকার সুযোগ পায়।

এই অনুষ্ঠান থেকেই রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন -এর রিসোর্স পার্সন এর  কাছে  সমস্যার কথা জানালে তিনি প্রয়োজনীয় অসুধের  সুপারিশ করেন। এর পাশাপাশি নিয়মিত হেল্পলাইন নম্বর থেকেও মনিকা তথ্য আদানপ্রদান করতে থাকেন। আর সম্মিলিত ফলে এক সপ্তাহের মধ্যেই মনিকার গরু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে এবং বর্তমানে প্রতিদিন দু'বেলায় প্রায় ১০-১২লিটার দুধ দিচ্ছে।

তার বক্তব্য অনুযায়ী –

প্রত্যেকদিন আমি দুধ বেচে ৩০০ টাকা থেকে ৩৩০ টাকা মত পাই। মাসে মোটামুটি ৯০০০ টাকা মত আমার দুধ বেচে উপার্জন হয়।

মনিকার কথায় " আমি আগেও পশুপালন করতাম, কিন্তু আজ আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী - কারণ যে কোনো সমস্যায় আমি ঘরে বসেই রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন -এর হেল্পলাইন থেকে সমস্যার সমাধান খুঁজে পাই। এছাড়া ফাউন্ডেশন এর কর্মী সুজয় বাবুও নিয়মিত আমাদের খবর নেন। আমার মতো হাজার হাজার গ্রাম বাংলার পশুপালক দের কাছে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন এক সঠিক দিশা "।

টোল ফ্রি হেল্পলাইন নম্বর ১৮০০ ৪১৯ ৮৮০০-এ ফোন করলে কৃষকরা যে কোন বিষয়ে কৃষি সংক্রান্ত সহায়তা পাবেন।  

আরও পড়ুন - রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন -এর হেল্পলাইন পরিষেবায় আত্মবিশ্বাসী পূর্ণিমা (Successful Women Farmer)

English Summary: Women farmer Monica got success through Reliance Foundation
Published on: 11 February 2021, 02:35 IST