মহাবীরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে পালিত হয় মহাবীর জয়ন্তী। জৈনদের এটি অন্যতম প্রধান এবং বড় উৎসব। ব্যাপক উচ্ছ্বাসের সঙ্গে জৈনরা পালন করে এই দিনটি। মহাবীর যিনি জৈন সাধকদের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতির অন্যতম পবিত্র এবং সর্বাধিক দক্ষ মিশনারি হিসাবে বিবেচিত হন। জৈন ধর্মের ২৪ তম এবং চূড়ান্ত তীর্থঙ্কর ভগবান মহাবীরকে তরুণ প্রজন্মের সাথে ভাগ করা বিভিন্ন গল্পের মাধ্যমে স্মরণ করা হয়।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী মহাবীর জয়ন্তী চৈত্র শুক্লার ত্রয়োদশী তিথিতে পালন করা। সেই অনুযায়ী এই বছর মহাবীর জয়ন্তী ৩ এপ্রিল সকাল ৬ তা ২৪ মিনিটে শুরু হয়েছে এবং ৪ টা এপ্রিল রাত ৮ টা ৫ এ শেষ হবে। এই দিন মহাবীরের দ্বারা বিভিন্ন নীতি স্মরণ করা হয়। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় অহিংসা, এবং সত্য, শিক্ষা, সামাজিক মূল্যবোধ নিয়ে এই ধর্মের হাত ধরে বানী প্রচার করতেন। সেগুলিই এই দিনে পাঠ করা হয়।
আরও পড়ুনঃ আজ ১০০০ কোটির প্রকল্প উপহার দেবেন মমতা
জীবনে সাফল্যের জন্য মহাবীর ৫ টি নীতির কথা উল্লেখ করেন। এই ৫ টি নীতিকে বলা হয় পঞ্চশীল নীতি। তিনি এই বিশ্বাস করতেন এই ৫ টি নীতি মনুষ্য জীবনকে সাফল্যের চুড়ায় নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। আসুন জেনে নিই সেই ৫ টি নীতি সম্পর্কে।
আরও পড়ুনঃ চাকরি ছেড়ে গোলাপ চাষ করে বছরে ১৫ লাখ টাকা ইনকাম করছেন এই যুবক
১) সত্য- সত্য জীবনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। সত্যের পথে বাঁধা বিপত্তি আসবেন তবে জয় আপনার নিশ্চিত। সত্যের পথে হাঁটলে আপনাকে সাফল্যতা অর্জনে কেও আটকাতে পারবেনা।
২.অপরিগ্রহ- অপরিগ্রহ মানে হল এই পৃথিবীতে কোনও প্রাণী বা বস্তুর প্রতি আসক্তি। মহাবীর এর প্রতি কারোর প্রতি অত্যাধিক আসক্তি আপনার সাফল্যের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কোনও কিছুর প্রাপতা এবং অপ্রাপ্যতার ভারসাম্য বজায় থাকা উচিত।
৩। অহিংসা- পৃথিবী জয় করার এক অন্যতম পন্থা অহিংসা। এর হাত ধরে আপনি যে কোনও জিনিসের প্রাপ্তি পাবেন। কারোর ওপর অত্যাচার, বাজে কথা বলা, ঈর্ষান্বিত বোধ করা এগুলি বাদ দিতে হবে তবেই সাফল্য লাভ করা সম্ভব।
৪) আচৌর্য- এই কথার অর্থ হল চুরি করা। অন্যের অনুমতি ছাড়া কারোর জিনিস নিয়ে নেওয়া চূড়ান্ত পাপ করা। তাই এই অভ্যাসের পরিবর্তন করা উচিত। সবকিছুতে আমিত্ব ত্যাগ করা উচিত।
৫) ব্রহ্মচর্য- এই নীতির অর্থ হল তপস্যা। এই প্রক্রিয়ার হাত ধরে সমস্ত মায়া ত্যাগ করা সম্ভব। এই প্রক্রিয়ায় আপনার আত্মা শোষিত হয়।