ফের ঘূর্ণিঝড়ের অশনিসংকেত। হটাত করেই আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছিল নতুন ঘূর্ণিঝড়ের। এবার সেই আশঙ্কাতে স্থায়ী সিদ্ধান্ত জানাল হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিবর্তিত হতে পারে বলে মনে করছে হাওয়া অফিস। হাওয়া অফিসের মতে সাধারণত মার্চ মাসে ঘূর্ণিঝড় হয়না। কিন্তু এবারে ইতিহাসে পরিবর্তন। মার্চ মাসে হতে পারে ঘূর্ণিঝড়। দীর্ঘ ৯৬ বছর পর ইতিহাসের পরিবর্তন হতে চলেছে।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘ ১২৯ বছরে মার্চে বঙ্গোপসাগর এবং আরব সাগরে আটটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে। তারমধ্যে ২ টি উপকূল পার করেছে। যেটি শেষবারের মত হয়েছিল ১৯২৬ সালে। তারপরে আবার ২০২২ সালে সেই ইতিহাসের প্রত্যাবর্তন হতে পারে বলে করছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়ায় এবার অশনি সংকেত। ঘূর্ণিঝড় “ অশনি” দেশের আকাশে আনছে অশনি সংকেত। এই বারের ঘূর্ণিঝড় আন্দামান উপকূল পার করতে পারবে বলে মনে করছে মৌসম ভবন।
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। তা আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার (২০ মার্চ) গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পরদিন অর্থাৎ সোমবার, ২১ মার্চ এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। রবিবার এই ঘূর্ণিঝড় আন্দামান এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপকূল বরাবর উত্তর দিকে যেতে পারে। তারপর এই ঝড় উত্তরপূর্ব বরাবর মায়ানমার এবং বাংলাদেশের দিকে এগোবে।
২০২২ এর প্রথম ঘূর্ণিঝড় অশনির সঙ্গে মোকাবিলা করতে ইতিমধ্যেই বাংলায় নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে সুন্দরবনে। তাই সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে মোকাবিলা করতে এবার বায়োশিল্ড এর সাহায্য নেওয়া হয়েছে। বায়োশিল্ড হল কিছু প্রজাতির গাছের প্রাচীর যা ঘূর্ণিঝড়কে আটকাতে সাহায্য করবে। তবে বছরের এই প্রথম ঘূর্ণিঝড় আপাতত ছেড়ে দিতে পারে বাংলাকে। সেই ভাবে বাংলায় এর প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুনঃ মহিলা কৃষকদের এক অসম্পূর্ণ অধিকার,এবং এক সম্পূর্ণ কাহীনি