শীতের মরশুম শুরু হতে না হতেই দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড় ‘মনদৌস’। ঠাণ্ডার মরশুমে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে উপর সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে এমনই পূর্বাভাস জারি করেছে মৌসম বিভাগ। যার জেরে তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও অন্ধপ্রদেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সুত্রে খবর তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরি উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার সকালে পৌঁছে গেলেও স্থলভাগ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা খুব কম। উপকূলের কাছাকাছি এসে শক্তি হারাতে পারে। তবে এর প্রভাব পড়বে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে। এবং স্থলভাগের কাছাকাছি ঘূর্ণিঝড় মনদৌসের গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হতে পারে বলে অনুমান করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া দফতর সুত্রে খবর, রাজ্যে এখনও কোনো দুর্যোগের সম্ভাবনা নেই। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়বে। এর ফলে দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী কয়েক দিনে ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়তে পারে। পুনরায় উত্তরে হাওয়া রাজ্যে প্রবেশ করলেই শীতের আমেজ ফিরে আসবে। আজ বুধবার কলকাতা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৪৮ শতাংশ।
আরও পড়ুনঃ বীজ, সার থেকে শুরু করে ফসল বিমা পাচ্ছেন না? এবার বাড়িতে বসেই করুন অভিযোগ!
আবহাওয়া দফতর সুত্রে খবর, আগামী ৮ ডিসেম্বর ১৩টি জেলা এবং ৯ ডিসেম্বর ১২টি জেলায় ঝোড়হাওয়া সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যে জায়গা গুলিতে বেশি পরিমান বৃষ্টি হবে, সেগুলি হল চেন্নাই, কাঞ্চিপুরম, তিরুভাল্লুর এবং চেঙ্গলপেট। এছাড়াও তিরুপত্তুর, কৃষ্ণগিরি, ধর্মপুরী এবং সালেম এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি পাত হবে। এর ফলে আগামী কয়েকদিনে মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে এনডিআরএফ, এসডিআরএফ সঙ্গে উপকূলরক্ষী বাহিনীরাও।