কৃষিজাগরন ডেস্কঃ শুক্রবার মরসুমের শীতলতম দিন দেখেছিল কলকাতা এবং দিল্লি। কলকাতার তাপমাত্রা নেমে আসে ১০.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।অন্যদিকে দিল্লিতে কিছু কিছু জায়গায় তাপমাত্রা নেমে আসে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু শনিবার শহরের তাপমাত্রা বাড়ল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব থাকলেও সেই কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি কিছুটা কমেছে। জেলায় জেলায় সকালের দিকে শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে।আপাতত ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টির কোনও সম্ভবনা নেই।
শুক্রবার ছিল এ মরশুমের শীতলতম দিন। এর আগে শেষবার ২০১৮ সালে কলকাতায় পারদ নেমেছিল ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। গত পাঁচবছরে দ্বিতীয়বার এই নিয়ে পারদ ১০ ডিগ্রির ঘরে প্রবেশ করল। তবে আবহাওয়া দফতর সুত্রে খবর, ১০ ডিগ্রির নীচে পারদ নামার সম্ভাবনা নেই। তবে শীত বজায় থাকবে।
আরও পড়ুনঃ বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা নামল ৭ ডিগ্রিতে,আর কতদিন চলবে শীতের দাপট?
আজকের আবহাওয়া কেমন থাকবে ?
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা : ১৫.৭°সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা : ০৯.২° সেলসিয়াস
আর্দ্রতা : ৪১%
আরও পড়ুনঃ একধাক্কায় পারদ পতন, শীতের অনুভূতি রাজুজুড়ে! কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া?
ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় তাপমাত্রার পারদ পড়তে শুরু করেছে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম সহ উত্তর বঙ্গের জেলা গুলিতে অনেকটাই কমেছে তাপমাত্রার পারদ। অনেকেই হালকা গরম চাদর বের করতে শুরু করেছেন জেলাগুলিতে। উত্তরবঙ্গে জেলা গুলিতে সকালের দিকে কুয়াশা দেখা দিচ্ছে। পার্বত্য এলাকা গুলিতে তাপমাত্রার পারদ আরও কমবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
এই মুহূর্তে আগামী ৪ থেকে ৫ দিন পশ্চিমবঙ্গে উত্তুরে হওয়ার প্রভাব ক্রমশ বাড়বে। শীতের কাঁপুনি ভাব টের পাওয়া যাবে জেলাগুলিতেও । প্রসঙ্গত, শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে পারদপতন হয়েছিল পুরুলিয়ায়। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কনকনে ঠান্ডার মধ্যে কুয়াশার দাপটে জবুথবু উত্তর বঙ্গের মানুষ। তারমধ্যেই পর্যটকরা ভিড় করছেন পাহাড়ে, ডুয়ার্সের জঙ্গলে।