'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার
Updated on: 5 July, 2021 7:09 AM IST
Potato harvesting (Image Credit - Google)

ধান কাটার পর রসযুক্ত জমিতে আলুর চোখ কেটে নির্দিষ্ট দূরত্বে বসানোর পর এক মুঠো গোবর সার চাপা দিতে হবে এবং পরে কচুড়িপানা সামান্য শুকিয়ে আচ্ছাদন করে দিতে হবে। চাষ না করে খুব কম খরচে আলু চাষ (Potato Cultivation) পশ্চিম মেদিনীপুরে হচ্ছে। ১০ দিন পর আবার কচুড়িপানা দিয়ে আচ্ছাদন দিতে হবে। মোট ৩-৪ বার আচ্ছাদনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এতে মাটির রস সংরক্ষিত হবে, সেচের কোন প্রয়োজন নেই। আলু কচুরিপানার মাঝখানে হবে, মাটির ভিতরে নয়। এতে রোগ পোকা কম হয়। উৎপাদন কম হলেও চাষের খরচ কম।

বাড়ীতে পুরানো বস্তায় মাটি ও গোবর সার ভরে বিভিন্ন সবজি করা যেতে পারে। ধান জমির আল ও পুকুর পাড়ে সরু মাচায় লাউ, কুমড়ো, শীম, করলা, ধুদুল, কুদরী ইত্যাদি লতানো ফসলের চাষ করা হচ্ছে। খরচ কমে জায়গার সঠিক ব্যবহার হয়।

ফল বাগানে গাছের পাতা সরিয়ে না ফেলে গাছে যতদূর ছায়া পড়ে সেই অংশে রেখে দিতে হবে। এর ফলে জমির রস সংরক্ষন হবে এবং কোন সেচের প্রয়োজন হবে না।

রোগ ও পোকা নিয়ন্ত্রণ (Disease and pest control) :

জৈব উপায়ে উৎপাদিত ফসলে রোগ ও পোকার উপদ্রব কম হয়। রাসায়নিক সার প্রয়োগে গাছ রোগ পোকা প্রবণ হয়ে পড়ে। দেশজ ফসল, মিশ্র ফসল ও সাথী ফসল থাকা ও জৈব সার প্রয়োগের জন্য রোগ ও পোকার উপদ্রব কম হয়। রাসায়নিক কৃষিতে এই বিষয়ের উপর কোন নজর দেওয়া হয় না। রোগ পোকার আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত রোগ ও পোকার অংশটি তুলে ফেলে দিতে হবে। সময়ের ফসল সময়ে লাগাতে হবে। সেমন গ্রীষ্মকালে লাগানো মূলত শীতকালীন ফসল বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ব্যাপক রোগ ও পোকার আক্রমণ হয়। কৃষক বেশী লাভ পাওয়ার জন্য বেশী কীটনাশক স্প্রে করেন। আবার শীতকালে বেগুনে পোকা কম হয়।

চামরমনি ও কালোনুনিয়া ধানে ঝলসা হয় না। বেশীরভাগ দেশজ ফসল ও দেশী ধানের রোগ ও পোকার প্রতিরোধ শক্তি আছে। প্রকৃতিতে পোকা, মাকড় ও রোগ থাকবেই সব নির্মূল করতে যাওয়া বৃথা। পাখি প্রচুর পোকা খায়। জমিতে পাখি বসার জায়গা করে দিতে হবে। একটি ফিঙে পাখি দিনে প্রায় ১৫০ টা পোকা খেতে পারে। রাতে পেঁচা ইদুর খেয়ে ইঁদুরের সংখ্যা কমিয়ে রাখে। প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় মাকড়সার মত মাংসাশী পোকা ফসল আক্রমণকারী নিরামিষাশী পোকা ধ্বংস করে। কিছু পোকা শত্রু পোকার শরীরে ডিম পাড়ে। এর ফলে শত্রু পোকার সংখ্যা কমতে থাকে। জৈব কৃষির উদ্দ্যেশ্য হল প্রাকৃতিক খাদ্য খাদক সম্পর্ককে স্বাভাবিক রাখা তা হলেই ফসল সুরক্ষিত থাকবে।

মাটির উপকারী ছত্রাক ট্রাইকোডারমা ভিরিডি উদ্ভিদ রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ক্ষতিকর ছত্রাককে আক্রমণ করে। বাজারে টিভি নামে প্রচলিত এই ছত্রাক উদ্ভিদের রোগের জন্য স্প্রে করা হয়। মাটিতে পাওয়া এক জীবানু ব্যসিলাস থুরিনজিয়েনসিস-এর স্পোর বানিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে বিটি নামে। পিসিলিমাইসেস নামক মাটিতে বসবাসকারী ছত্রাক মাটির কৃমি নিমাটোড প্রতিহত করতে সাহায্য করে। শীতকালে (সর্ব্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়) বিভিন্ন সবজি লেদা পোকার জন্য স্প্রে করা হয়। ওই স্পোর লেদা পোকার পাকস্থলীতে প্রবেশ করার পর পাকস্থলী নষ্ট করে দেয় , পোকার আক্রমণ কমে। এর জন্য কোন রাসায়নিক কীটনাশকের মত কোন দূষণ হয় না। কয়েক বছর চাষ করার পর কৃষি বাস্তুতন্ত্র স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার পর বাইরের উপকরনের আর বিশেষ প্রয়োজন হয় না। তবে বহু বিতর্কিত জীন পরিবর্তিত বিটি শস্য আলাদা বিষয়। ফসলে শুধুমাত্র লেদা পোকার আক্রমন প্রথম দিকে কম হলেও গৌন পোকার আক্রমনের জন্য আরো বেশী বিষ স্প্রে করতে হয়, লেদা পোকারও প্রতিরোধ শক্তি বেড়ে যায়। তাছাড়া পরিবেশে এর বিরুপ প্রতিক্রিয়া প্রমানিত এবং জৈব কৃষিতে গ্রহনযোগ্য নয়।

জৈব উপায়ে উৎপাদিত ফসলে রোগ ও পোকার উপদ্রব কম হয়। রাসায়নিক সার প্রয়োগে গাছ রোগ পোকা প্রবণ হয়ে পড়ে। দেশজ ফসল, মিশ্র ফসল ও সাথী ফসল থাকা ও জৈব সার প্রয়োগের জন্য রোগ ও পোকার উপদ্রব কম হয়। রাসায়নিক কৃষিতে এই বিষয়ের উপর কোন নজর দেওয়া হয় না। রোগ পোকার আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত রোগ ও পোকার অংশটি তুলে ফেলে দিতে হবে। সময়ের ফসল সময়ে লাগাতে হবে। যেমন গ্রীষ্মকালে লাগানো মূলত শীতকালীন ফসল বাঁধাকপি ও ফুলকপিতে ব্যাপক রোগ ও পোকার আক্রমণ হয়। কৃষক বেশী লাভ পাওয়ার জন্য বেশী কীটনাশক স্প্রে করেন। আবার শীতকালে বেগুনে পোকা কম হয়।

চামরমনি ও কালোনুনিয়া ধানে ঝলসা হয় না। বেশীরভাগ দেশজ ফসল ও দেশী ধানের রোগ ও পোকার প্রতিরোধ শক্তি আছে। প্রকৃতিতে পোকা, মাকড় ও রোগ থাকবেই সব নির্মূল করতে যাওয়া বৃথা। পাখি প্রচুর পোকা খায়। জমিতে পাখি বসার জায়গা করে দিতে হবে। একটি ফিঙে পাখি দিনে প্রায় ১৫০ টা পোকা খেতে পারে। রাতে পেঁচা ইদুর খেয়ে ইঁদুরের সংখ্যা কমিয়ে রাখে। প্রাকৃতিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় মাকড়সার মত মাংসাশী পোকা ফসল আক্রমণকারী নিরামিষাশী পোকা ধ্বংস করে। কিছু পোকা শত্রু পোকার শরীরে ডিম পাড়ে। এর ফলে শত্রু পোকার সংখ্যা কমতে থাকে। জৈব কৃষির উদ্দ্যেশ্য হল প্রাকৃতিক খাদ্য খাদক সম্পর্ককে স্বাভাবিক রাখা তা হলেই ফসল সুরক্ষিত থাকবে।

আরও পড়ুন - Intercropping – অতিরিক্ত লাভের উদ্দেশ্যে একই জমিতে দুই ফসলের চাষ পদ্ধতি

মাটির উপকারী ছত্রাক ট্রাইকোডারমা ভিরিডি উদ্ভিদ রোগ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন ক্ষতিকর ছত্রাককে আক্রমণ করে। বাজারে টিভি নামে প্রচলিত এই ছত্রাক উদ্ভিদের রোগের জন্য স্প্রে করা হয়। মাটিতে পাওয়া এক জীবানু ব্যসিলাস থুরিনজিয়েনসিস-এর স্পোর বানিজ্যিকভাবে বিক্রি হচ্ছে বিটি নামে। পিসিলিমাইসেস নামক মাটিতে বসবাসকারী ছত্রাক মাটির কৃমি নিমাটোড প্রতিহত করতে সাহায্য করে। শীতকালে (সর্ব্বোচ্চ ২৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায়) বিভিন্ন সবজি লেদা পোকার জন্য স্প্রে করা হয়। ওই স্পোর লেদা পোকার পাকস্থলীতে প্রবেশ করার পর পাকস্থলী নষ্ট করে দেয় , পোকার আক্রমণ কমে। এর জন্য কোন রাসায়নিক কীটনাশকের মত কোন দূষণ হয় না।

আরও পড়ুন - Paddy Disease – ধান চাষে বৈজ্ঞানিক উপায়ে কীট ও রোগ ব্যবস্থাপনা

English Summary: Profitable Potato Farming and disease management method
Published on: 03 July 2021, 09:40 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)