Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 16 August, 2021 2:36 PM IST
Tuberose tree (image credit- Google)

রজনীগন্ধা চাষে উৎপাদিত ফসল ৫০-৬০% বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং ৩০% জল ও সারের খরচ কমানো যেতে পারে | সাধারণত, রজনীগন্ধা চাষে কৃষকবন্ধুদের বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় | যার মধ্যে আগাছা দমন এক গুরুতর সমস্যা | এই সমস্যা সমাধানে চাষীভাইদের প্রায় দিশেহারা অবস্থা হতে হয় | তাই অনেকেই দ্বিধায় থাকেন আগামীদিনে এর চাষ আদৌ করবেন কি না | কারণ রজনীগন্ধা ফুলগাছটি হল একধরনের একবীজপত্রী ঘাসের মতো এবং এর মধ্যে অন্যান্য ঘাস জন্মালে তা দমন করা কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে |

 তাছাড়া বর্তমান দিনে মাঠে কাজ করার মজুরের সংখ্যা কমে যাওয়ার জন্য নিড়ানি দিয়ে ঘাস মারা খুব ব্যায়বহুল এবং এখানে দেখা যাচ্ছে মোট চাষের খরচের প্রায় ৪০% আগাছা দমনের জন্যই খরচ হচ্ছে  | আর সবসময় দিনমজুর পাওয়াও যায় না, যাঁর ফলে গাছের ফলন ভীষণভাবে কমে যাচ্ছে। তাই, রজনীগন্ধা চাষে পলিথিনের ব্যবহার (Polythene Technique) করে কিভাবে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়, নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো;

পলিথিন পদ্ধতি ও তার উপকারীতা(How to use Polythene):

রজনী গন্ধা মাঠে আগাছা দমনের ওষুধ প্রয়োগ করা যায় না। চাষীভাইদের এই বিস্তর সমস্যার কথা মাথায় রেখে বিগত কয়েকবছর ধরে বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (Bidhan Chandra Krishi Viswavidyalaya) গবেষণা চালাচ্ছে | ফলস্বরূপ, পলিথিন ব্যবহারের কথা তার জানিয়েছেন | এই পলিথিন ব্যাবহার করে রজনীগন্ধা চাষে উৎপাদিত ফসল ৫০-৬০% বৃদ্ধি করা যেতে পারে এবং ৩০% জল ও সারের খরচ কমানো যেতে পারে | শুধু তাই নয় প্রায় ৪০% আগাছা দমনের খরচও কমানো যেতে পারে (১০,০০০ প্রতি বিঘাতে পলিমাচিং করে)।

আরও পড়ুন - Agriculture pest management: ক্ষতিকর কীটনাশক নয়, জেনে নিন শাক-সবজির পোকা দূর করার সহজ উপায়

মাঘ মাসে মাটিকে চষে প্রথমে চষে নিতে হবে | এরপর ১.২ মিটার চওড়া ও ৬ ইঞ্চি উঁচু বেড বানাতে হবে এবং ওই বেডগুলিকে ভাল করে সমতল করার পর ৪০ গেজের কালো পলিথিন দিয়ে মুড়ে ফেলতে হবে। এরপর ২ ইঞ্চি ব্যসের প্লাস্টিক পাইপ দিয়ে পলিথিনের উপর চাপ দিয়ে ছেঁদা করতে হবে  | এমনভাবে করতে হবে যে, গাছ থেকে গাছ ও লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব যথাক্রমে ২০ ও ৩০ সেন্টিমিটার থাকে।

সার প্রয়োগ(Fertilizer):

এরপর, পাইপের মাথা দিয়ে পলিথিন ছেঁদা করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে, গর্ত যেন ২ ইঞ্চি গভীর হয়। পলিথিন বিছানোর আগে মাটিতে(Soil) সার প্রয়োগ করতে হবে | প্রতি বিঘার জন্য, ২০০০ কেজি গোবর সার, ৫০ কেজি সর্ষের খোল, সিংকুচি বা হারের গুঁড়ো ৫০ কেজি, নিমখোল ৫০ কেজি, ১০-২৬-২৬ সারটি ৫০ কেজি এবং ৫ কেজি প্রতি বিঘাতে প্রয়োগ করতে হবে |

চাপান সার হিসাবে ১০-২৬-২৬ ১০ কেজি + ইউরিয়া ১০ কেজি + সরষের খোল ১০ কেজি + ট্রাসেল-২ ১ কেজি প্রতি বিঘাতে প্রতি ১ মাস অন্তর ২ টি বেডের মাঝখানে প্রয়োগ করে ভাসিয়ে জল দিতে হবে। শীতকালে এই চাপান সারটি দেখেশুনে প্রয়োগ করতে হবে গাছের বৃদ্ধির উপর নজর রেখে।

এই পদ্ধতি অবলম্বনে চাষীভাইদের সমস্যা অনেকাংশে কম হবে | মূলত, তারা চাষের খরচ অনেকটাই কমিয়ে লাভের মুখ দেখতে পাবেন |

আরও পড়ুন - Intercropping Agriculture: কৃষিক্ষেত্রে মিশ্র চাষের গুরুত্ব ও সুবিধা

English Summary: Tuberose Cultivation: There is a huge benefit in the use of polythene in tuberose cultivation
Published on: 16 August 2021, 02:36 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)