এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 13 August, 2021 3:31 PM IST
Aquarium fish farming (image credit- Google)

সম্প্রতি অ্যাকুরিয়ামে বাহারি রঙবেরঙের মাছ পালন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। নিতান্তই শখের বশে যারা অ্যাকুরিয়ামে মাছ পালন করতে ভালোবাসেন তাদের বলা হয় অ্যাকিউরিস্ট। অ্যাকুরিয়াম হলো কৃত্রিম জলাধার যাতে জলজ উদ্ভিদ এবং অন্য উপকরণ স্থাপনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করে বাহারি মাছ পালন, সংক্ষণ ও প্রদর্শন করা যায়। অ্যাকিউরিস্টদের মূল উদ্দেশ্য থাকে আনন্দ লাভ কিংবা ঘরের শোভাবর্ধন করা, তাই কাচের শিট দিয়েই কৃত্রিম জলাধার তৈরি করা ভালো। কৃত্রিম জলাধার হতে হবে আয়তকার কিংবা বর্গাকার। গোলাকার জলাশয়ে মাছ চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না এবং বিকৃত দেখা যায়।

অ্যাকুরিয়াম তৈরি এবং ব্যবস্থাপনা:

অ্যাকুরিয়াম তৈরি খুব জটিল কাজ না হলেও তৈরিতে বেশ যত্নবান হতে হয়। বাড়িতে স্থাপনের জন্য একটি অ্যাকুরিয়ামের আকার হবে ১৮ থেকে ৬০ ইঞ্চি পর্যন্ত। মাছ পালনে একেবারে নবীন হলে ২৪, ১২, ১২ বা ৩০, ১৫, ১৫ ইঞ্চি আয়তনের অ্যাকুরিয়াম দিয়ে শুরু করা যেতে পারে।

কাচের অ্যাকুরিয়াম:

কাচের অ্যাকুরিয়াম তৈরিতে চারটি কাচের শিট গাম দিয়ে জোড়া লাগিয়ে একটি আয়তকার ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। নিচে একটি কাঠের শিট লাগিয়ে একটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ট্যাংক তৈরি করা হয়। কাচ জোড়া লাগানোর জন্য সিলিকন গাম ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে এমন কাচ ব্যবহার করতে হবে যা অ্যাকুরিয়ামের ভেতরের পানির চাপ সহ্য করতে পারে। অ্যাকুরিয়ামের আকার ভেদে ৪ মিলিমিটার থেকে ১০ মিলিমিটার পুরু কাচ ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যাকুরিয়ামের পানি ধূলিকণা, ময়লা ও দূষণমুক্ত রাখতে প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম বা কাঠ দিয়ে ঢাকনা তৈরি করা যায়।

আরও পড়ুন - Intercropping Agriculture: কৃষিক্ষেত্রে মিশ্র চাষের গুরুত্ব ও সুবিধা

ঢাকনা আলো বা বাতি সংযোজনের জন্য বৈদ্যুতিক প্লাগ লাগাতে হবে।নুড়ি পাথর অ্যাকুরিয়ামে মূলসহ উদ্ভিদকে আবদ্ধ রাখে এবং অণুজীবের জন্য বায়োটোন হিসেবে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। অনেক নুড়ি জলে ধীরে ধীরে গলে যায়। অনেক নুড়িতে দ্রবণীয় ধাতব আকরিক থাকে। এ বৈশিষ্ট্যধর্মী নুড়ি অ্যাকুরিয়ামে ব্যবহার উচিত নয়। স্নেট, গ্রানাইট এবং ব্যাসাল্ট অ্যাকিউরিয়ামে ব্যবহার উপযোগী আকরিক।

জল(Water):

মাছ পালনের প্রথম এবং প্রধান উপাদান জল। অ্যাকুরিয়ামে বৃষ্টি, পুকুর ডোবা ও ওয়াসার জল ব্যবহার করা যায়। তবে জলে যেন কোনো রোগ-জীবাণু, অণুজীব এবং রাসায়নিক পদার্থ না থাকে সে জন্য জল  সূক্ষ্মছিদ্রযুক্ত কাপড় দ্বারা কয়েকবার ছেকে নিয়ে ট্যাংকে ঢালতে হবে। ওয়াসার জল না ব্যবহার করাই ভালো। কারণ ওয়াসার জলে ক্লোরিন থাকে। ক্লোরিন মাছের ফুলকা পচা এবং মৃত্যুর কারণ হতে পারে। বিশুদ্ধ পানি বর্ণহীন। কোনো কারণে জলের বর্ণ ঘোলাটে, লালচে বা সবুজ এবং জলে গন্ধ সৃষ্টি হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন করে দিতে হবে।

জলজ উদ্ভিদ:

অ্যাকুরিয়ামকে জলজ বাগানও বলা হয়ে থাকে। বাহারি মাছের জীবনযাত্রার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে জলজ উদ্ভিদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের দেশে পাওয়া যায় এবং অ্যাকুরিয়ামে লাগানোর উদ্ভিদ কয়েকটি জলজ উদ্ভিদের নাম হলো কুটিপানা, পাতা ঝাঝি, ক্ষুদিপানা, টোপাপানা, উল্কিপানা, ঘেচু, ঝাউ ঝাঝি, ইন্ডিয়ান ফার্ন, পাতা শেলা জাভা মস। উল্লেখিত উদ্ভিদগুলোর আবাসস্থল হলো পুকুর, খাল, বিল ও নদী।

মাছ নির্বাচন:

সুস্থ সবল মাছ বাছাই করতে হবে। এদের চেনার উপায় হলো, এরা স্বাচ্ছন্দ্যে জলের যে কোনো স্থানে যাতায়াত করতে পারে। সুন্দর করে সুষ্ঠুভাবে অ্যাকুরিয়াম উপস্থাপন করতে হলে উপরিস্তর, মধ্যস্তর এবং নিম্নস্তরের মাছ একসঙ্গে ছাড়তে হবে। অ্যাকুরিয়ামে পালন উপযোগী কয়েকটি মাছের নাম দেয়া হলো। Characidac গোত্রের কয়েকটি মাছ রেড নোজ টেট্রা (Red nose tetra) ফ্লেম টেট্রা (Flam tetra), গোললাইট টেট্রা (Glowlight tetra), সার্পে টেট্রা (Serpae tetra), নিওন টেট্রা (Neon tetra), কঙ্গো টেট্রা (Congo tetra) ইত্যাদি। অ্যাকুরিয়ামের আকার অনুযায়ী মাছের আকার ও সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে।

মাছের খাবার ও যত্নাদি(Food):

অ্যাকুরিয়ামের মাছের জন্য আধুনিক প্রক্রিয়াজাত খাবার দেয়াই ভালো। খাবারের বৈচিত্র্যতা মাছ পছন্দ করে। অ্যাকুরিয়ামে শুকনো খাবারের সঙ্গে জীবন্ত পরিবেশন করা যেতে পারে। জীবন্ত খাবার জলজ ও স্থলজ দু ধরনের হতে পারে। অ্যাকুরিয়ামের স্বাদু পানির মাছের জন্য ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা সর্বোত্তম।

অ্যাকুরিয়ামের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার সঠিক পরিমাণ আলো প্রয়োজন। ৩০ সেন্টিমিটার লম্বা একটি অ্যাকুরিয়ামে প্রয়োজনীয় আলো সরবরাহের জন্য ৩০ সেন্টিমিটার আকারের (২০ ওয়ার্ট) একটি টিউবই যথেষ্ট। ট্যাংকের আকার ৫০ সেন্টিমিটার হলে ওই আকারের দুটি টিউব প্রয়োজন হয়।

আরও পড়ুন - Successful farming tips: সফল কৃষিকাজের চাবিকাঠি কি? জেনে নিন কিছু টিপস

English Summary: Aquarium Fish Farming: In addition to enhancing beauty, fish farming methods in aquariums
Published on: 13 August 2021, 03:31 IST