আরশোলা নাম শুনলেই সকলের চোখ ওঠে কপালে। এদের বাড়ি থেকে তাড়ানোর কাজে নেওয়া হয় বিভিন্ন পরিকল্পনা। কিন্তু জানেন কি এই আরশোলা লাগতে পারে বহু কাজে। এমনকি বহু দেশে এর চাষও করা হয়ে থাকে। আর সেই চাষ থেকে লভ্যাংশের পরিমাণও অনেক বেশি।
বর্তমানে সারা বিশ্বজুড়েই বিশেষত আফ্রিকা, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকায় প্রোটিনের বিকল্প হিসেবে আরশোলা চাষের দিকেই ঝুঁকছে। রাষ্ট্রসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রায় দুইশত মানুষের খাবারের একটি অংশ হল পোকামাকড়। চীনে এই আরশোলা সোনার চেয়েও বেশি মূল্যবান। এই দেশে বড় ফার্মগুলিতে প্রায় ৬০০০ কোটি আরশোলা থাকে। মুরগি এবং মাছ চাষের ক্ষেত্রেও তাঁরা এই আরশোলা ব্যবহার করেন। এমনকি চীনের রাস্তার ধারে বহু দোকানে সিচুয়ান সস দিয়ে আরশোলা ভাজা খাওয়া বেশ জনপ্রিয়।
আরও পড়ুনঃ কালো আম! চারা কিনবেন কোথায়? স্বাদ কেমন?
সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী জনসংখ্যার নিরিখে চীন রয়েছে প্রথমে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই দেশে ব্যাপক হারে ময়লা-আবর্জনা হয়। বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য এখানে আরশোলা বড় পরিসরে পালন করা হয়। আরশোলা আবর্জনা খেয়ে ফেলে সেক্ষেত্রে পরিবেশের কোনও ক্ষতি হয়না। চীনে বছরে ৬০ মিলিয়ন টন রান্নাঘরের বর্জ্য তৈরি হয়। প্রযুক্তির সাহায্যে, বর্জ্য অপসারণে গ্রিনহাউস নির্গমনের ঝুঁকি থাকে। আর এই প্রক্রিয়া যথেষ্ট ব্যয়বহুল।
আরও পড়ুনঃ Weather Big Update: অবশেষে সবুজ সংকেত! বৃষ্টির পূর্বাভাস বঙ্গের এই ৫ জেলায়
চীনে আরশোলা কম্পোস্ট বিন থেকে বড় কারখানায় পালন করা হয়। সিচাং শহরে এই চাষ করা হয়। আরশোলার বসবাসের স্থানটি কোনো ল্যাবের চেয়ে কম নয়। তাদের চাষের জন্য কাঠের বোর্ডের ঘর তৈরি করা হয়। এই ঘরগুলিতে হালকা আদ্রতার বজায় রাখা হয়। বর্তমানে চীনে শতাধিক আরশোলার ফার্ম রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক সাফল্য! ৫০হাজার কর্মসংস্থান নিশ্চিত
ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদন অনুসারে আরশোলা প্রসাধনী এবং ওষুধ তৈরিতে এবং পশু খাদ্যের জন্যও ব্যবহৃত হয়। এগুলি থেকে তৈরি ওষুধগুলি পেপটিক আলসার, ত্বকের জ্বালা, ক্ষত এমনকি পেটের ক্যানসার নিরাময় করে বলে দাবি করা হয়েছে।