'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 19 September, 2020 5:14 PM IST
Turkey farm

২০১৬ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের অধীনে শস্য শ্যামলা কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সহায়তায় প্রথম বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে টার্কি পাখি চাষের জন্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু। তারপর থেকেই রাজ্য জুড়ে টার্কি পাখি চাষের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের এক বিশেষজ্ঞের কথায়, “ছয়টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে শহরতলিতে টার্কি পাখির চাষ শুরু হয়। ধার হিসেবে ২৫০টি টার্কি পাখির বাচ্চা দেওয়া হয়েছিল। তারপরে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় টার্কি পাখি প্রতিপালন নিয়ে। পাখির খাদ্যের যোগানের জন্য পুকুরে পানার (অ্যাজোলা) চাষ ছাড়াও কোনও রকম রোগ হলে পাখিকে কীভাবে বাঁচাতে হবে তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ফলে, বিভিন্ন জায়গায় টার্কি চাষের জনপ্রিয়তা বাড়ছে।

টার্কি দেখতে মুরগির বাচ্চার মতো হলেও তুলনামূলকভাবে অনেক বড়। এরা পরিবেশের সঙ্গে দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। পালনের জন্য উন্নত পরিকাঠামো দরকার হয় না। মাংস উৎপাদনের দিক থেকে খুবই ভালো (৬ মাস বয়সে ৫-৬ কেজি)। পাখির মাংস হিসেবে এটা মজাদার এবং কম চর্বিযুক্ত। তাই অন্যান্য মাংসের বিকল্প হতে পারে। আমাদের দেশে অনেকের ব্রয়লার মুরগির মাংসের ওপর অনীহা আছে। তাদের জন্য টার্কি হতে পারে সেরা পছন্দ।

টার্কি পাখির বৈশিষ্ট্য : 

আমাদের দেশের অনুকূল আবহাওয়া ও পরিবেশে পশুপাখি পালন অন্যান্য দেশের তুলনায় সহজ। আবার কিছু প্রাণী আছে যারা দ্রুত পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আর টার্কি পাখি সে রকম একটি সহনশীল জাত, যে কোনো পরিবেশ দ্রুত এরা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। এরা বেশ নিরীহ ধরনের পাখি, মুক্ত অথবা খাঁচা উভয় পদ্ধতিতে পালন করা যায়। ৬-৭ মাস বয়স থেকে ডিম দেয়া শুরু করে এবং বছরে ২-৩ বার ১০-১২টি করে ডিম দেয়। একটি মেয়ে টার্কির ৫-৬ কেজি এবং পুরুষ টার্কি ৮-১০ কেজি ওজন হয়। এদের মাংস উৎকৃষ্ট স্বাদের। ঘাস, পোকামাকড়, সাধারণ খাবার খেতে এরা অভ্যস্ত, তবে উন্নত খাবার দিলে ডিম ও মাংসের পরিমাণ বেশি পাওয়া যায়। ৪-৫ মাস বয়সের টার্কি ক্রয় করা ভালো, এতে ঝুঁকি কম থাকে এবং লিঙ্গ নির্ধারণ সহজ হয়। প্রথমে বাণিজ্যিকভাবে শুরু না করে ৮-১০ জোড়া দিয়ে শুরু করা ভালো, কারণ তাতে সুবিধা অসুবিধাগুলো নির্ণয় করা সহজ হয়।

Turkey bird

রোগবালাই : 

টার্কি পাখির তেমন বড় কোনো রোগবালাই নেই। চিকেন পক্সের টিকা নিয়মিত দিলে এ রোগ এড়ানো সম্ভব। অতি বৃষ্টি বা বেশি শীতের সময় মাঝে মাঝে ঠান্ডাজনিত রোগ দেখা যায়, রেনামাইসিন জাতীয় ওষুধ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে নিয়মিত টিকা দিলে এসব রোগ থেকে সহজেই টার্কিকে রক্ষা করা যায়।

টার্কি পালনের সুবিধা -

  • এদের মাংস উৎপাদন ক্ষমতা অনেক, টার্কি ব্রয়লার মুরগির থেকে দ্রুত বাড়ে
  • ঝামেলাহীনভাবে দেশি মুরগির মতো পালন করা যায়; অল্প পুঁজিতে একটি আদর্শ টার্কির খামার করা যায়
  • টার্কি পালনে তুলনামূলক খরচ কম, দানাদার খাদ্যের পাশাপাশি ঘাস, লতা-পাতা খেতেও পছন্দ করে
  • টার্কি দেখতে সুন্দর, তাই বাড়ির শোভাবর্ধন করে
  • টার্কির মাংসে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি, চর্বি কম। তাই গরু কিংবা খাসির মাংসের বিকল্প হতে পারে
  • টার্কির মাংসে অধিক পরিমাণ জিংক, লৌহ, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই ও ফসফরাস থাকে। এ উপাদানগুলো মানব শরীরের জন্য উপকারী এবং নিয়মিত এ মাংস খেলে কোলেস্টেরল কমে যায়
  • টার্কির মাংসে এমাইনো এসিড ও ট্রিপটোফেন অধিক পরিমাণে থাকায় এর মাংস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
  • অন্যান্য পাখির তুলনায় রোগবালাই কম এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে খামারে ঝুঁকি অনেক কমে যায়
  • উচ্চমূল্য থাকায় খরচের তুলনায় আয় অনেক বেশি

চাহিদা বৃদ্ধিই ব্যবসায় এনেছে মুনাফা - 

পশ্চিমবঙ্গে টার্কির চাহিদা ক্রমবর্ধমান। বিশেষ করে উৎসবের মরসুমে রেস্তোরাঁ মালিকরা চাইছেন স্পেশাল ডিস হিসেবে টার্কি রাখতে। এছাড়াও টার্কি বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতন মানুষেরও বেশ প্রিয়। রেড মিটের থেকে টার্কির মাংসে চর্বির পরিমাণ অনেক কম। এক সূত্র অনুযায়ী জানা গেছে, ২০১৯ সালে কেবল সরকারের ঘর থেকেই টার্কির মাংস বিক্রি হয়েছিল ১০ টন। ২০২০ সালে তা দ্বিগুণ হওয়ার লক্ষ্যে।

এসএইচজি, আতমা প্রকল্প, ব্লক প্রকল্প ইত্যাদি বিভিন্ন গোষ্ঠীর উদ্যোগে গ্রামীণ অঞ্চলে টার্কির বাচ্চা বিতরণ করা হয়। কম খরচে/বিনা খরচে এই সকল গোষ্ঠীর থেকে টার্কি নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে পালন করলে সহজেই প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করা যায়।

Image source - Google

Related link - (Kadaknath chicken farming) কড়কনাথ মুরগি চাষ করে আয় করুন লক্ষাধিক

(Straw treated with urea) গবাদি পশুর উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ইউরিয়া দিয়ে উপচার করা খড়ের ব্যবহার

English Summary: Earn millions by rearing turkey bird
Published on: 19 September 2020, 05:14 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)