'বাংলা কৃষি সেচ যোজনা'-পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্যে মুখ্যমন্ত্রীর সেচ প্রকল্প

পশ্চিমবঙ্গের পূর্বাঞ্চল অন্যতম প্রধান ধান উত্পাদনকারী রাজ্য। তবে শুধু ধানই নয়, বিভিন্ন ফসলের চাষ হয় এখানে। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে, এখানে প্রায়শই দেখা দেয় খরা। এতে কৃষকদের লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়। কৃষকদের এই দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে, রাজ্য সরকার একটি মাইক্রো-সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, যা জল সম্পদ সংরক্ষণ করবে, আবার কৃষকদের বেশী ফসল উৎপাদনেও সহায়তা করবে। এই প্রকল্পের নাম ‘বাংলা কৃষি সেচ যোজনা’।

KJ Staff
KJ Staff

পশ্চিমবঙ্গের পূর্বাঞ্চল অন্যতম প্রধান ধান উত্পাদনকারী রাজ্য। তবে শুধু ধানই নয়, বিভিন্ন ফসলের চাষ হয় এখানে। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের অভাবে, এখানে  প্রায়শই দেখা দেয় খরা। এতে কৃষকদের লোকসানের সম্মুখীন হতে হয়।

কৃষকদের এই দুরাবস্থার কথা বিবেচনা করে, রাজ্য সরকার একটি মাইক্রো-সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন, যা জল সম্পদ সংরক্ষণ করবে, আবার কৃষকদের বেশী ফসল উৎপাদনেও সহায়তা করবে। এই প্রকল্পের নাম ‘বাংলা কৃষি সেচ যোজনা’।

প্রকল্পের নাম

বাংলা কৃষি সেচ যোজনা

বাস্তবায়ন ক্ষেত্র

 পশ্চিমবঙ্গ

বাস্তবায়ন করেছেন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

ঘোষণার তারিখ

সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তত্ত্বাবধানকারী

পশ্চিমবঙ্গ কৃষি বিভাগ

সুবিধাভোগী

পশ্চিমবঙ্গের কৃষক

এই প্রকল্পের লক্ষ্য –

১) কৃষি উন্নয়ন - এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল দরিদ্র কৃষকদের বিনামূল্যে ফসল সেচ সুবিধা সহ তাদের ফসল চাষ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করা।

২) মাইক্রো সেচ সুবিধা স্থাপন - এই প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের সরকার কৃষকদের জন্য ক্ষুদ্র-সেচ সুবিধা স্থাপন করেছে। এটি কৃষিক্ষেত্রে জলের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করবে, সর্বোপরি জলের অপচয় রোধে কার্যকর হবে।

৩) সেচ পদ্ধতি - কর্তৃপক্ষ দুটি নির্দিষ্ট সেচ কৌশল চিহ্নিত করেছে। একটি স্প্রিঙ্কলার সেচ এবং অন্যটি ড্রিপ সেচ। এই দুটি পদ্ধতিই জলে সংরক্ষণে সহায়তা করবে। ড্রিপ সেচ ব্যবস্থা ইনস্টল করতে ব্যয় হয় প্রায় ৭০,০০০ টাকা এবং স্প্রিঙ্কলার সেচ মেশিন ইনস্টল করতে ব্যয় প্রায় ২০,০০০ টাকা।

৪) ফ্রি মেশিন ইনস্টলেশন - রাজ্য সরকার এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত যে, দরিদ্র কৃষকদের মেশিনগুলি ইনস্টল করার জন্য এত টাকার ব্যবস্থা করা অসম্ভব। সুতরাং, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সমস্ত মেশিন বিনামূল্যে প্রদান এবং ইনস্টল করা হবে।

৫) শস্যের ধরণ – খাদ্যশস্যের চাষ ছাড়াও, এই সেচ প্রকল্পটি শাকসবজি এবং ফল আবাদের জন্যও ক্ষেতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল সরবরাহ করবে।

৬) বাস্তবায়ন অঞ্চল – এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও জঙ্গলমহল জেলা তালিকার শীর্ষে রয়েছে। এই স্কিমটি মূলত সেই অঞ্চলে প্রয়োগ করা হবে, যেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ খুব কম।

ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের জন্যই এই প্রকল্পের প্রচলন করা হয়েছে। তবে, এই প্রকল্পটি রাজ্য সরকার নতুনভাবে প্রচলন করেছে, অনলাইন আবেদনের পদ্ধতি এখনও ঘোষিত হয়নি। এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে গেলে কৃষককে ব্লক টেকনিক্যাল ম্যানেজার-এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)

Published On: 17 April 2020, 04:00 PM English Summary: Bangla Krishi Sech Yojana- subsidy on drip irrigation system in West Bengal - know how to apply

Like this article?

Hey! I am KJ Staff. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters