দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই বর্ষা চরমে। অনেক রাজ্যে বন্যার কারণে পরিস্থিতি খারাপ এবং কিছু রাজ্যে বন্যা হতে চলেছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে লাগাতার ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করছে আবহাওয়া দফতর। আইএমডি জানিয়েছে, দেশে বন্যার বিপদ এখনও কাটেনি। বন্যার পর শুধু মানুষই নয়, পশুপাখিকেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় পশুদের। তবে পশু খামারিরা কিছু বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে এবং ছোট প্রস্তুতি নিয়ে এই ক্ষতি এড়াতে পারেন।
আসুন জেনে নিই কৃষি জাগরণ-এর এই প্রবন্ধে, কীভাবে বন্যার ক্ষতি থেকে বাঁচা যায় প্রাণীদের।
বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে কীভাবে প্রাণীদের রক্ষা করবেন
-
বন্যার ক্ষতি এড়াতে, আপনাকে ভারী বৃষ্টি বা বন্যার সম্ভাবনা সম্পর্কে আবহাওয়ার পূর্বাভাস সতর্কতা সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
-
যদি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে, তবে পশুদের ঘের থেকে পশুদের সরিয়ে নেওয়া সহজ করুন।
-
আগে থেকেই উঁচু স্থানে বা পাহাড়ে পশুদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করুন।
-
বন্যা আসার আগেই পশুদের জন্য সবুজ চারাসহ সব ধরনের খাবারের ব্যবস্থা করুন।
-
বন্যার সময় আগে থেকেই পশুদের পানীয় জলের ব্যবস্থা করুন।
-
বন্যার কারণে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং তাদের রোগ শনাক্ত করতে পশুদের প্রতিদিন পরীক্ষা করুন।
-
বর্ষাকালে গবাদিপশুর মালিকদের উচিত তাদের পশুদের পা ও মুখের রোগের টিকা দেওয়া।
-
বন্যার ক্ষেত্রে, পশুদের চিহ্নিত করা (ট্যাগিং) করা প্রয়োজন, যাতে ত্রাণ কাজ সহজে করা যায়।
-
বন্যার সময়, গবাদি পশুর মালিকদের পশু ব্যবস্থাপনার জন্য একটি জরুরী কিট প্রস্তুত করা উচিত, যাতে ওষুধ, হ্যাল্টার, দড়ি, পরিষ্কারের সরঞ্জাম, টর্চ লাইট, বহনযোগ্য রেডিও এবং ব্যাটারি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে।
-
যখন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা থাকে, তখন ঘেরের মধ্যে পশুদের খোলা রেখে দিন, যাতে জল ঢুকলে তারা পালিয়ে যেতে পারে।
-
আপনার পশুর ঘেরের চারপাশে বৈদ্যুতিক তারগুলি পরীক্ষা করা উচিত এবং সেগুলি মেরামত করা উচিত।
-
দাহ্য জিনিসপত্র যতটা সম্ভব পশুর ঘের থেকে দূরে রাখুন।
-
জলাবদ্ধতা বা বন্যার সময়, আপনার পশুদের পর্যবেক্ষণ করা উচিত এবং সময়ে সময়ে জলের স্তর পরীক্ষা করা উচিত।
-
বন্যার সময় মারা যাওয়া প্রাণীদের কবর দেওয়ার জন্য প্রায় 6 ফুট গভীর একটি গর্ত খনন করুন এবং মনে রাখবেন এই গর্তটি নদী বা কূপ থেকে কমপক্ষে 100 ফুট দূরে হওয়া উচিত।
আরও পড়ুনঃ বর্ষাকালে কিভাবে পশুদের যত্ন নেবেন? এখানে বিশেষজ্ঞ মতামত জানুন
বন্যার সম্ভাবনা না থাকলেও সতর্কতা অবলম্বন করুন
-
বহিরাগত পরজীবী থেকে প্রাণীকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
-
একই সাথে, আপনি যদি দুগ্ধ খামার করেন, তবে আপনি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পরজীবী নিয়ন্ত্রণের জন্য দেশি মুরগি পালন করতে পারেন।
-
আপনার পশুকে কালো ছাঁচযুক্ত তুষ বা ভেজা খাবার দেবেন না।
-
পশুদের জন্য খাদ্য সরবরাহ করার জন্য সর্বদা সম্পূর্ণ ফিড ব্লক ব্যবহার করুন।
-
শেড বা ছাদ থেকে পানি ঝরা রোধ করতে নিষ্কাশনের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিন।
-
বৃষ্টির সময়, টিক্স এবং মাছি দ্বারা সৃষ্ট রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নিন, যেমন বাবেসিয়া, সারা এবং থিলেরিয়া।
-
আপনার পশুর ঘেরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত এবং সঠিক বায়ু চলাচলও বজায় রাখা উচিত।
Share your comments