কৃষিজাগরন ডেস্কঃ খড় পোড়ানোর কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা দূষিত হচ্ছে। এতে শুধু মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরই খারাপ প্রভাব পড়ছে না, পাশাপাশি গবাদি পশুদের স্বাস্থ্যের ওপরেও এর ক্ষতিকারক প্রভাব পরছে। দেশজুড়ে বিপুল সংখ্যক প্রাণী এখনও লাম্পিতে ভুগছে।
শীত আসছে শীঘ্রই। এমন পরিস্থিতিতে পশুদের সুস্বাস্থ্যের জন্য তাদের ভালো যত্ন নেওয়াও প্রয়োজন। অনেক সময় শীতকালে ঠাণ্ডার কারণে গবাদি প্রাণীর জ্বর হয়, কাঁপুনি হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে মারাও যায়। এই সমস্ত ঝামেলা থেকে পশুদের বাঁচাতে, কৃষক এবং পশু মালিকদের এখন থেকে ব্যবস্থা (শীতে পশুর যত্ন) শুরু করা উচিত।
প্রায়শই শৈত্যপ্রবাহের কারণে গবাদি পশুর স্বাস্থ্য খারাপ হতে থাকে। হাড় ঝাঁকুনি দিয়েও সমস্যা হতে পারে, তাই পশুদের পাটের বস্তা দিয়ে পরানো যেতে পারে বা আলাদাভাবে পাটের তৈরি কাপড় পশুরা পরতে পারে।
আরও পড়ুনঃ কম খরচে বাম্পার লাভ, মুরগি পালনের সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
-
শীতকালে গবাদি পশুর গোয়ালও পরিষ্কার রাখতে হবে, কারণ এই দিনগুলিতে অনেক ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা পশুদের স্বাস্থ্য খারাপ করতে পারে।
-
গবাদি পশু বা তাদের জামাকাপড় এবং বিছানা ভালভাবে শুকানোর পরেই ব্যবহার করুন।সামান্য আর্দ্রতা পশুদের স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
-
প্রাণীদের সরাসরি মসৃণ মেঝেতে বসতে দেবেন না।পশুদের জন্য বস্তা বা বিছানার ব্যবস্থা করুন।
-
শীতকালে প্রাণীদেরও উষ্ণতা প্রয়োজন।এমন অবস্থায় পশুদের সুষম খাদ্য খাওয়ান। পশুদের সরিষার তেল দিন। এর সাথে আপনি গুড়, সরষের খোল এবং অন্যান্য সুষম খাবারও খাওয়াতে পারেন।
-
পশুদের ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য সবুজ খাবার যেমন ঘাস ১:৩ অনুপাতে খাওয়াতে পারেন।
-
সময়ে সময়ে সম্ভব হলে পশুদের গরম জল দিন।
আরও পড়ুনঃ এই রাজ্যে গরুর জন্য খোলা হচ্ছে আইসিইউ,পাওয়া যাবে এই সমস্ত সুবিধা
-
পশুপাখি খোলা জায়গায় না রেখে শেড বা শেড রাখুন, যা তাদের হিম ও শৈত্যপ্রবাহ থেকে রক্ষা করতে পারে।
-
শীতকালে রোদ বের হলে পশুদের বেড়াতে নিয়ে যান, কারণ সূর্যের রশ্মিতে ক্ষতিকর ভাইরাস ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রাণীরাও স্বস্তি পায়।
-
লুম্পির প্রকোপ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, তাই সমস্ত দুগ্ধজাত প্রাণীকে টিকা দিন।
-
শীতকালে, পশুদের পেট খারাপ এবং ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে, এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে একজন পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
-
শীতের মৌসুমে পশুদের নিউমোনিয়া, সর্দি, ঘর্ষণ এবং মুখের রোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।এমতাবস্থায় পশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী রোগ প্রতিরোধক টিকাও দিতে হবে।