পশুপালকের আয় নির্ভর করে দুগ্ধজাত পশুর ওপর। গবাদিপশু থেকে ভালো দুধ উৎপাদন হলেই পালনকারীরা ভালো লাভ করতে পারবেন । এসবই তখনই সম্ভব হবে যখন গবাদিপশুর মালিক সঠিক উপায়ে বাজার থেকে ভাল জাতে গরু-মহিষ কিনে আনবেন।একজন পশুপালকের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা, উর্বরতা এবং পশুদের স্বাস্থ্যের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। তাই আজ আমরা এই প্রতিবেদনে জানব ভালো দুধের গাভি কেনার সময় কোন কোন বিষয়গুলো বেশি খেয়াল রাখতে হবে।
শরীরের গঠন
দুগ্ধজাত পশুর শারীরিক গঠনের দিকে পশুপালকদের বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রাণীর শরীর সামনে থেকে পাতলা এবং পেছন থেকে চওড়া হওয়া উচিত ব্যাখ্যা কর। এর সাথে নাকের ছিদ্র হতে হবে খোলা, চোয়াল শক্ত হতে হবে, চোখ উঁচু ও চকচকে হতে হবে। এ ছাড়া ত্বক হতে হবে পাতলা, লেজ লম্বা হতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কার্নিশ মুরগির বাজার জমজমাট, পোল্ট্রি চাষের চাহিদা বেড়েছে
বয়স
দুগ্ধজাত পশু কেনার আগে ২ থেকে ৩ দিন ভালোভাবে পরীক্ষা করা উচিত। গাভির বয়স কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ বছর হতে হবে। তৃতীয় এবং চতুর্থ বাছুর পর্যন্ত প্রাণী থেকে দুধ উৎপাদন সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে, কিন্তু তারপর ধীরে ধীরে হ্রাস পায় এমতাবস্থায় দুধ উৎপাদন ব্যবসার জন্য ২ থেকে ৩টি দাঁত অর্থাৎ কম বয়সী পশু অধিক লাভজনক বলে বিবেচিত হয়।
স্বাস্থ্য
আপনি যে পশুটি কিনছেন তা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া উচিত। এই জন্য, আপনি কাছাকাছি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারেন। যদি প্রাণীদের টিকা দেওয়া হয় এবং প্রাণীগুলি খুব বেশি অসুস্থ না হয়ে থাকে তবে আপনি সেগুলি কিনতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ পশুধন মেলা: শুরু হয়েছে উন্নত জাতের পশুর সমাগম
উর্বরতা
পশুপালকদের পশুদের প্রজনন ক্ষমতার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে, কারণ এর ওপরই পশুর দুধ উৎপাদন নির্ভর করে।একটি আদর্শ দুধের পশুর জন্য প্রতি বছর একটি বাচ্চা দিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে পশুদের উর্বরতা সম্পর্কেও তথ্য নেওয়া উচিত। পশুতে যেন কোনো ঘাটতি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। পশুর উর্বরতা ঠিক না থাকলে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।