কৃষিজাগরন ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে, মৃত পশু আর যত্রতত্র ফেলতে দেখা যাবে না, পচা গন্ধও পাওয়া যাবে না। এর জন্য সরকার বিশেষ ব্যবস্থা করছে। এখন মোক্ষ ভূমি কাশীতেও পশুদের দাহ করা সম্ভব হবে। মানুষের মতো, এখন বারাণসীতে পশুদের জন্য একটি শ্মশান তৈরি করা হচ্ছে। এটি হবে উত্তরপ্রদেশের প্রথম বৈদ্যুতিক পশুর শ্মশান, যা আগামী মাসের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। চোলাপুর ব্লক এলাকায় নির্মিত এই বৈদ্যুতিক পশু শ্মশানের জন্য খরচ হয়েছে ২.২৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুনঃ এবার রাজ্যেও লাম্পি ভাইরাসের হাতছানি, আক্রান্ত ২
বিশ্ব পর্যটনের মানচিত্রে দ্রুত উঠে আসা বারাণসীও দ্রুত গতিতে চাঙ্গা হচ্ছে। প্রাচীনত্বের লালন কাশী, আধুনিকতার সাথে তাল মিলিয়ে দ্রুত বিকাশ লাভ করছে। বারাণসীতে পশুপালনের ব্যবসাও দ্রুত বেড়েছে, কিন্তু পশু মারা যাওয়ার পর সেগুলো নিষ্পত্তির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। গবাদি পশুর মালিকরা রাস্তার ধারের ক্ষেতে ফেলে দিত অথবা গোপনে গঙ্গায় ডুবিয়ে দিত, যা দুর্গন্ধের পাশাপাশি দূষণ ছড়াত । তাই পশুদের নিষ্পত্তির জন্য একটি বৈদ্যুতিক পশু শ্মশান নির্মাণ করছে উত্তর প্রদেশের সরকার ।
জেলা পঞ্চায়েতের অতিরিক্ত মুখ্য আধিকারিক, অনিল কুমার সিং বলেছেন যে ২.২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ০.১১৮০ হেক্টর জমিতে একটি বৈদ্যুতিক পশু শ্মশান তৈরি করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রয়োজন অনুযায়ী সৌরশক্তি ও গ্যাসের ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরিরও প্রস্তাব করা হয়েছে। বৈদ্যুতিক শ্মশানের ক্ষমতা প্রতি ঘন্টায় প্রায় ৪০০ কেজি নিষ্পত্তি। এমন পরিস্থিতিতে এক ঘণ্টায় একটি পশু এবং দিনে ১০ থেকে ১২টি পশু নিষ্পত্তি করা যায়।
আরও পড়ুনঃ গরুর দুধে লাম্পি ভাইরাসের কোনো প্রভাব আছে কি? জেনে নিন বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন
কর্মকর্তার মতে, নিষ্কাশনের পর অবশিষ্ট ছাই সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে । পশুমালিক ও কৃষকদের নিষ্পত্তি ও সার দেওয়ার জন্য ফি দিতে হবে নাকি এই পরিষেবা বিনামূল্যে হবে, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে শীঘ্রই জেলা পঞ্চায়েত বোর্ডের বৈঠকে। জেলা পঞ্চায়েত মৃত পশু তুলতে পশু ক্যাচারও কিনবে।
চিফ ভেটেরিনারি অফিসার রাজেশ কুমার সিং জানান, জেলায় প্রায় ৫ লাখ ৫০ হাজার পশু রয়েছে। আধুনিক বৈদ্যুতিক শ্মশান তৈরির ফলে এখন মানুষ মারা গেলে পশুপাখিকে খোলা জায়গায় ফেলবে না।