দেশে দুগ্ধ পালকদের উন্নয়নের জন্য অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পরিচালিত হয়েছে। এই পর্বে, অনেক রাজ্যে গো-পালন সম্পর্কে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কৃষকেরা কীভাবে পরিষ্কার দুগ্ধ উৎপাদন করবন, কীভাবে দেশী জাতের পালনে বেশী অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, সেই সম্পর্কেই দেওয়া হবে প্রশিক্ষণ। বিহারের গয়াতেও শুরু হয়েছে এই কার্যক্রম।
কৃষকেরা যদি পরিষ্কার দুগ্ধ উৎপাদন করেন, তাহলে তাঁরা সেই দুগ্ধ বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। অপরদিকে যাঁরা পরিষ্কার দুগ্ধ গ্রহণ করবেন, তারাও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন এবং রোগ মুক্ত থাকতে পারবেন। তাই আমাদের শুধুমাত্র দুগ্ধ উৎপাদন নয়, পরিষ্কার দুগ্ধ উৎপাদন কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা উচিৎ।
গরুর হাইব্রিড জাত রয়েছে, যাদের উচ্চ দুধ উত্পাদন ক্ষমতা রয়েছে। ফলে হাইব্রিড গরুর পালনে আকর্ষক হওয়ায় দেশীয় জাতের গরুর সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে, তবে সম্ভবত অনেকেই জানেন না যে দেশীয় জাতের গাভীর দুধ খুব পুষ্টিকর এবং দীর্ঘমেয়াদী সুপ্রভাব রয়েছে। এটি মাথায় রেখে কৃষকদের দেশীয় জাতগুলি পালন করতে উত্সাহ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ বিষয় হ'ল কৃষকদের গরু পালন সম্পর্কে আরও ভালভাবে অনুসরণ করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
মানপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে দেশীয় জাতের গরুর পালন পদ্ধতি সম্পর্কে আরও ভালভাবে অনুসরণ করার জন্য নতুন বছরে গবাদি পশু পালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বলা হচ্ছে, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে একটি গরুর শেড তৈরি করা হবে। যেখানে ৫ টি গরু রাখা হবে। এর পরে, আপনার বাড়িতে কীভাবে গরুর সংখ্যা বাড়ানো যায়, কী খাওয়ানো যায়, যাতে তারা আরও দুধ দিতে পারে সে সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রাণী বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এখন গবাদি পশু পালকদের দেশীয় জাতের গরু পালন করা উচিত। এটি তাদের আরও উপকৃত করবে।
আরও পড়ুন - জামুনপাড়ি জাতের ছাগল পালন করে কৃষক আয় করছেন লক্ষাধিক (Profitable Goat Breed)