পশ্চিমবঙ্গের প্রাণী সম্পদ বিভাগের উদ্যোগে হাঁস ও মুরগির ডিম উৎপাদনের বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রকল্প-২০১৭ শুরু করেছে। এই প্রকল্পের সাহায্যে রাজ্যের ডিমের চাহিদা পুরন করার জন্য বাণিজ্যিকভাবে ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাঁস ও মুরগির খামার স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় থাকা খামারগুলো থেকে বছরে ১০ কোটি ডিম উৎপাদিত হচ্ছে।
সমস্ত খামার গুলো যদি উৎপাদন শুরু করে দেয় তাহলে বছরে ৭০ কোটি ডিম উৎপাদিত হবে। এই প্রকল্পের অধীনে মূলধনী অনুদান এবং ভর্তুকি দেওয়া হবে। ডিম উৎপাদক খামারের পাখির সংখ্যা হিসেবে সর্বাধিক ৮০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। ক্ষুদ্র ও ছোট খামারগুলি বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদন শুরু করলে এই প্রকল্পের অধীনে ৫ বছর পর্যন্ত অনুমোদিত প্রকল্প মূল্যের সর্বাধিক ৭৫% মেয়াদি ঋণের উপর ধার্য সুদের ৪০% হারে মেয়াদি ঋণের ওপর সুদের ভর্তুকি দেওয়া হবে। আর মাঝারি খামারের ক্ষেত্রে এটা হবে ২৫%। ক্ষুদ্র ও ছোট খামারের ক্ষেত্রে উৎপাদন শুরু হওয়ার ৫ বছর পর্যন্ত প্রতি ইউনিট-(কিলো ওয়াট আওয়ার) ১ টাকা ৫০ পয়সা হারে এক বছরে সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হবে, আর মাঝারি খামারের ক্ষেত্রে ভর্তুকির পরিমাণ হবে ১০ লক্ষ টাকা।
ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি খামার উৎপাদন শুরু করার ৫ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ মাশুলের ৭৫% হারে বছরে সর্বাধিক ২ লক্ষ টাকা বিদ্যুতের মাশুল মকুব করা হবে। যদি খামারের জমি এ রাজ্যে কেনা হয় এবং প্রকল্পের অধীনে হয় তাহলে স্ট্যাম্প শুল্ক এবং রেজিস্ট্রেশন ব্যয়ের উপর ৫০% ভর্তুকি দেওয়া হবে।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী
Share your comments