এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 6 July, 2020 4:36 PM IST

কালমেঘ, এটি একটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Andrographis paniculate. দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এর উপস্থিতি চোখে পড়ে৷ বীরুৎ-জাতীয় এই গাছের গড় উচ্চতা প্রায় ১ মিটার হয়ে থাকে৷ এই গাছের ভেষজ গুন প্রচুর, তাই এর চাহিদাও অনেক৷ দক্ষিণ এশিয়া ব্যাপকভাবে এর চাষ হয়ে থাকে৷

আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে কালমেঘের (Benefits of Green Chiretta) অবদান অনস্বীকার্য৷ এর পাতা যেমন দেহের ক্ষত পরিষ্কারে সাহায্য করে, তেমনই এর রস রক্ত-আমাশয় নিরাময়ে, কৃমি দূর করতে খুবই কার্যকরী বলে মনে করা হয়৷ এর চাহিদার কারণেই এই গাছ চাষ করতে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন৷ বীজ থেকে চারার মাধ্যমে এর চাষ হয়৷

মে-জুন মাসে মূলত নার্সারি প্রস্তুত করা হয়৷ বছরের শেষের দিকে এতে ফুল আসার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷ এই গাছের ফুলগুলি গোলাপি রঙের ছোট আকৃতির হয়৷ মার্চ-ফেব্রুয়ারিতে বীজ সংগ্রহ করা হয়৷ এই গাছ কেটে শুকিয়ে নিয়েও বিক্রি করা হয়৷ গুনে সমৃদ্ধ এই গাছ জুন-জুলাই মাসে চাষ করা হয়৷

দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশে এই কালমেঘের উপস্থিতি বেশি চোখে পড়ে৷ জন্ডিস, কৃমি, ম্যালেরিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, যকৃতের সমস্যা এমনই বিবিধ রোগের সঙ্গে লড়তে কালমেঘ বা চিরতা ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ সর্দি-কাশিতে যেমন এর ব্যবহার সম্পর্কে অনেকেই ওয়াকিবহাল তেমনই চর্মরোগেও (Skin Disease) এই গাছ ব্যবহার করা হয়৷

যে কোনও ধরণের জলবায়ুতেই এই গাছের চাষ সম্ভব যেমন, তেমনই বিভিন্ন মাটিতেও এটি বেড়ে উঠতে পারে৷ তবে ভালো বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা আবহাওয়া এবং বেলে-দোআঁশ মাটিতে এর চাষ ভালো হয়৷ আবার ছায়াযুক্ত স্থানে, জঙ্গলেও এটি নিজের মতো বিস্তৃতি লাভ করতে সক্ষম৷ ভালো ফসলের জন্য এই কালমেঘ চাষের (Green Chiretta Cultivation) আগে মাটি ভালো করে কর্ষণ করে নিতে হবে৷ মনে রাখতে হবে দুটি গাছের মধ্যে পার্থক্য রাখতে হবে, অর্থাৎ প্রায় ১৫ সেন্টিমিটার দূরে দূরে বীজ বপন করতে হবে৷

মাটি, বালি, জৈব সার মিশিয়ে বীজের জন্য মাটি প্রস্তুত করে নিতে হয় প্রথমে৷ পলিথিনের মধ্যে এই প্রাথমিক কাজটি করে নেন অনেকে৷ বীজ থেকে চারা বেরোলে তা চাষের জমিতে রোপন করা হয়৷ কালমেঘের ভালো ফসলের জন্য জমিতে গোবর সার ব্যবহার করেন অনেকে৷ মূলত বর্ষাকালে এটি চাষ করা হয় তাই সেচ কার্যের তেমন প্রয়োজনীয়তা পড়ে না৷ তবে প্রথম প্রথম তিন-চার দিন পর পর প্রয়োজনাসুরে জল দিতে হয়৷ এরপর আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী সপ্তাহে সপ্তাহে জলসেচ করা যেতে পারে৷

অন্যান্য সবজি চাষের মতোই এই কালমেঘের পরিচর্যা নেওয়া উচিত৷ আশেপাশের আগাছা সরিয়ে দিতে হবে৷ যেন জল না জমে যায় জমিতে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে৷ এর চারা রোপনের প্রায় ৯০-১০০ দিন পর ফসল সংগ্রহের সময় হয়ে যায়৷ এর ঔষধি গুন প্রচুর পরিমাণে থাকায় বাজারে এর যথেষ্ট চাহিদাও রয়েছে৷ তবে সঠিক উপায়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের পরামর্শ নিয়ে করতে পারলে এর চাষ থেকে লাভ হতে পারে৷

আরও পড়ুন- খারিফ মরসুমে কচু চাষে (Taro Farming) হতে পারে প্রচুর লাভ

সয়বিনের (Profitable cultivation of soybean) লাভজনক চাষ

বাড়িতে টবেই চাষ করে ফেলুন ঔষধি গুনে সমৃদ্ধ (Medicinal Plants) এই গাছগুলি

English Summary: Benefits and details of green chiretta farming
Published on: 06 July 2020, 04:13 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)