'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 28 August, 2020 4:10 PM IST
Onion

চাষ কার্যে ফসলের রোগ পোকা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সঠিক সময়ে কীট নিয়ন্ত্রণ না করলে ফসলের ক্ষতি হয়। তাই আর্থিক দিক থেকে অধিক লাভের জন্য ফসলের উচ্চ ফলনের জন্য কীট নিয়ন্ত্রণ সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক।

বর্ষাকালীন পেঁয়াজের কীট পরিচালনা -

১) চোষী পোকা - 

বিজ্ঞানসম্মত নাম- থ্রিপস ট্যবাকি

সংক্ষিপ্ত বিবরণ- এই পোকা ছোট ও হলদে-সাদা বর্ণের হয়। এই পোকার ডানায় চিরুনির মতো লম্বা রোম থাকায় একে চিরুনি পোকাও বলা হয়। বাচ্ছা ও পূর্ণাঙ্গ পোকাগুলিকে পাতায় দেখা যায়। পাতার নিচে দিকে ডিম পাড়ে।

ক্ষতির লক্ষ- চোষি পোকা দলবদ্ধ হয়ে পাতা থেকে রস শোষণ করে খায়। আক্রান্ত পাতা রুপালী-সাদা হয় ও পরে বাদামী হয়ে যায়। পাতার ডগা থেকে রোগের লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়। এই পোকার তীব্র আক্রমণ দেখা গেলে চারাগাছের বৃদ্ধি ব্যহত হয়। সবশেষে গাছটি নেতিয়ে পড়ে ও শুকিয়ে মারা যায়। এই পোকার আক্রমণের ফলে কন্দের আকার ও আকৃতি তথা উৎপাদন ব্যহত হয়।

আক্রমণের তীব্রতার মাপকাঠি- লাগানোর ১৫ দিন পর প্রতিগাছে ১৩-১৫ টি পোকা দেখা গেলে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিতে হবে।

নিয়ন্ত্রণ-

  • জমি আগাছা মুক্ত করতে হবে। জমিকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখলে পোকার আক্রমণ অনেকটাই কম হয়।
  • উন্নত জাত যেমন- এগ্রিফাউন্ড ডার্ক রেড, বসন্ত ৭৮০, ভিমা রেড ইত্যাদি চাষ করতে হবে।
  • বেড়া ফসল হিসাবে ভুট্টার চাষ করুন।
  • পোকার আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় নিম জাতীয় ওষুধ অ্যাজাডিরাক্টিন ১ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে আঠার সাথে স্প্রে করুন।
  • পরজীবী বন্ধুপোকা, সেরানিসাস মেন্স এবং পরভোজী বন্ধুপোকা, ছিলোমেন্স সেক্সমাকুলাটা জমিতে ছাড়তে হবে।
  • বীজ বপনের ৩০ দিন পর সিউডোমোনাস ফ্লুরোসেন্স ৫ গ্রাম প্রতি লিটার বা বিউভেরিয়া ব্যাসিয়ানা ১০ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করতে হবে।
  • আক্রমণ তীব্র হলে ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮% ১ মিলি/৩ লিটার জলে বা ডাইমিথোয়েট ৩০% ১.৫ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে আঠা সহযোগে স্প্রে করুন।
  • ফিপ্রোনিল ১ মিলি প্রতি লিটার বা স্পাইনোস্যাড ২.৫ মিলি/১০ লিটার বা অ্যাসিটামিপ্রিড ১ গ্রাম/৪ লিটার জলে বা ডাইফেনথিউরন ১ গ্রাম/২ লিটার জলে ১৫ দিন অন্তর দুবার আঠা সহযোগে স্প্রে করুন।

২) পেঁয়াজের মাছি - 

বিজ্ঞানসম্মত নাম- হাইলিমিয়া অ্যান্টিকুয়া

সংক্ষিপ্ত বিবরণ- পূর্ণাঙ্গ মাছি আকারে ৬ মিমি লম্বা, ধূসর রঙের হয় ও কাঁটাযুক্ত ডানা থাকে। ম্যাগট সাদা ও পা বিহীন হয়।

ক্ষতির লক্ষ- মাছির শূককীট পাতা খেয়ে মাটির নীচে চলে যায় এবং পেঁয়াজের কন্দের চাকতি অংশের ক্ষতি করে। আক্রান্ত গাছ ক্রমশ হলদে-বাদামী বর্ণ ধারন করে ও সবশেষে শুকিয়ে মারা যায়। আক্রান্ত কন্দগুলি সংরক্ষণ কালে পিথিয়াম নামক ছত্রাকের আক্রমণে পচন বৃদ্ধি হয়।

আক্রমণের তীব্রতার মাপকাঠি- লাগানোর ১৫ দিন পর প্রতিগাছে ১ টি পূর্ণাঙ্গ মাছি দেখা গেলে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিতে হবে।

নিয়ন্ত্রণ-

  • শস্য আবর্তন করতে হবে। অর্থাৎ একই ফসল একই জমিতে বারবার চাষ করা চলবে না।
  • আক্রমণ প্রবণ এলাকায় মাটি তৈরির সময় প্রতি একরে ৩০০ কেজি নিমখোল প্রয়োগ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
  • পরভোজী বন্ধুপোকার (গ্রাউন্ড বিটল, রোভ বিটল) সংখ্যা জমিতে বাড়াতে হবে।
  • চারা লাগানোর আগে জমিতে ভালোভাবে দানাদার কীটনাশক ফোরেট ১০জি ৬০০ গ্রাম/১০ শতকে প্রয়োগ করতে হবে।
Thrips

) পেঁয়াজের ল্যাদা পোকা -

বিজ্ঞানসম্মত নাম- স্পোডোপটেরা লিটুরা

সংক্ষিপ্ত বিবরণ- ল্যাদা কালচে সবুজ ও মথ ধূসর বর্ণের হয়। স্ত্রী মথ পাতায় ডিম পাড়ে। ৩-৪ দিনের মধ্যে লার্ভা বের হয়ে পাতা খেতে শুরু করে। ল্যাদা সাধারণত দিনের বেলা লুকিয়ে থাকে ও রাত্রে আক্রমণ করে।

ক্ষতির লক্ষণ- ল্যাদা প্রথমে গাছের সবুজ অংশ আঁচড়ে খায়। পরে পাতা ফুটো করে খায় ও পাতার মধ্যে আশ্রয় নেয়। তারপর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ও মাটির নিচে প্রবেশ করে। পাতার কাটা অংশ ও মল দেখে আক্রমণ বোঝা যায়।

আক্রমণের তীব্রতার মাপকাঠি- চারা লাগানোর ১৫ দিন পর প্রতি গাছে ১ টি লার্ভা।

নিয়ন্ত্রণ-

  • কুমড়োগোত্রীয় ফসলের সাথে শস্য আবর্তন করতে হবে।
  • মূল জমি চাষের সময় জমিতে কারবোফিউরান ৫০ গ্রাম এ. আই/ হেঃ প্রয়োগ করুন।
  • আক্রমণের প্রাথমিক অবস্থায় নিম জাতীয় ওষুধ অ্যাজাডিরাক্টিন ১%ইসি ৩ মিলি বা ১.৫ গ্রাম বিটি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করুন।
  • ফেরোমোন ফাঁদ প্রতি একরে ৩-৪ টি ব্যবহার করতে হবে।
  • পরজীবী বন্ধুপোকা ট্রাইকোগ্রামা প্রেটিওসাম ৪০,০০০ প্রতি একরে ছাড়তে হবে।
  • স্টেইনারনিমা ফেল্টি ২০-১২০ কোটি পোকাখাদক কৃমি প্রতি একরে স্প্রে করতে হবে।

আক্রমণ অধিক হলে নোভালিউরন ১ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করুন।

) নালী পোকা -

বিজ্ঞানসম্মত নাম- ফাইটোমাইজা জিম্নোসটোমা

ক্ষতির লক্ষণ- ক্ষুদ্র পোকাটি পাতার দুই ত্বকের মাঝে নালী করে পাতার সবুজ অংশ খেয়ে পাতার উপর আকাবাকা রেখার সৃস্টি করে। তাই একে চাষীভাইরা ম্যাপকাটা পোকা বলেও ডাকে।

নিয়ন্ত্রণ-

  • প্রাথমিক অবস্থায় গাছের পাতায় আক্রমণ দেখা গেলে পাতা তুলে নষ্ট করতে হবে।
  • কার্টাপ ৫০% ১ গ্রাম/লি জলে বা ইথোফেনপ্রক্স ১০% ১মিলি/ লি জলে গুলে স্প্রে করুন।
  • নিমজাত কীটনাশক অ্যাজাডিরাক্টিন ১% ইসি ৩ মিলি প্রতি লিটার জলে গুলে স্প্রে করুন।

নিবন্ধ - অর্ক সামন্ত এবং প্রত্যুষা বক্সী 

Image Source - Google

Related link - (Dragon fruit cultivation) সর্বরোগহারা ফল -ড্রাগন ফল, লাভজনক ড্রাগন ফল চাষের সম্পূর্ণ তথ্য

(Tomato farming) গ্রীণহাউসে টমেটোর চাষ করে উপার্জন করুন অতিরিক্ত অর্থ

English Summary: Pest attack and its control in Kharif onion
Published on: 28 August 2020, 04:10 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)