তাইওয়ান গোলাপী পেয়ারার চাষ এখন ভারতে খুব জনপ্রিয়। এটি ভারতীয় কৃষকদের জন্য আয়ের একটি ভাল উত্স হয়ে উঠছে। কৃষকরা এখন বিভিন্ন রাজ্যে এটি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এটি পেয়ারার একটি অত্যন্ত উন্নত জাত এবং এক বছরের মধ্যেই এর উদ্ভিদ ফলন দিতে সক্ষম। যে কৃষকরা ঐতিহ্যবাহী চাষ থেকে আলাদা কিছু করতে চান, তারা তাইওয়ান গোলাপী পেয়ারা চাষ করতে পারেন।
বছরে তিনবার ফলন -
এটি একটি বহুবর্ষজীবী জাত। এই জাতের উদ্ভিদ প্রতি বছরে কমপক্ষে তিনবার ফল দেয়। একটি উদ্ভিদ এক বছরে প্রায় ৩০ কেজি ফল দিতে পারে। আপনি যদি এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করতে চান, আপনাকে প্রায় ৫০০ টি গাছ লাগাতে হবে। যার থেকে আপনি প্রতি বছরে ১৫০ কুইন্টাল ফলন পাবেন। যদি বাজারে আপনার ফল ৩০ কেজিও বিক্রি হয়, তবে আপনি এক বছরে প্রায় ৭ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করতে পারেন।
বিশিষ্টতা -
এটি একটি অতি উন্নত এবং আধুনিক প্রজাতির পেয়ারার গাছ। এক ফুট উঁচু এই প্রজাতির উদ্ভিদ ৬ মাস পর থেকে ফল দেওয়া শুরু করে। এই জাতটির সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হ'ল ফুল ও ফল বছরে বারো মাসই দিতে পারে, ফলও খুব বড় হয়। ওজনের ক্ষেত্রে, এটি ১৫০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে।
কীভাবে বপন করবেন -
এই ফসলের জন্য, আপনাকে একটি ২.৫. × ৩ মডেল গ্রহণ করতে হবে। এক উদ্ভিদ থেকে অপর উদ্ভিদের দূরত্ব ২.৫ ফুট এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩ ফুট হওয়া উচিত। বিঘা বাগানের জন্য ৪৫০ থেকে ৫০০টি গাছ লাগানো প্রয়োজন। মাটি প্রস্তুত করতে গোবর জৈব সারের সাথে ডিএপি সার মিশ্রিত করুন। গাছ লাগানোর ছয় মাস পরেই ফল দেওয়া শুরু করবে।
উত্পাদন বৃদ্ধি –
এক বছরে, একটি উদ্ভিদে দেড়\শতাধিক শাখা বৃদ্ধি করুন এবং গাছগুলির উচ্চতা ৬ ফুট পর্যন্ত থাকলে ভালো। পেয়ারার সর্বোচ্চ ফলনের জন্য কান্ডের পরিবর্তে শাখাগুলি বিকাশ করা দরকার। প্রকৃতপক্ষে, এর প্রতিটি পাতায়, ফুল এবং ফলগুলি ৮-১০ শাখায় জন্মায়। ফলপ্রসূ উদ্ভিদে যত বেশি শাখা-প্রশাখা তত বেশি ফল পাবেন।
Image source - Google
Related link - (Pea’s cultivation) মটরের এই জাতের চাষ করে উপার্জন করুন দ্বিগুণ অর্থ
(Coconut cultivation) এই পদ্ধতিতে নারকেল চাষ করে আয় করুণ দ্বিগুণ অর্থ